বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছোটবেলা থেকেই সকলে আমরা পড়ে এসেছি ছটি কথা। কিন্তু বর্তমানে সেই ছটি ঋতু ভালোভাবে অনুভব করা যায় না। কারণ এখন অধিকাংশ সময় বঙ্গে বর্ষার আবির্ভাব। যার ফলে এই শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ঋতুর মধ্যে দিয়ে কখন যে বাকি তিনটে ঋতু চলে যায় তা বোঝা যায় না। কিন্তু সাম্প্রতিককালে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ।কারণ যখন গরম পড়ার কথা তখন মাত্রাধিক গরম পড়ছে। আবার যখন বর্ষা হওয়ার কথা, তার বিলম্বিত হয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বৃষ্টি থাকছে। আর এর ফলেই আবহাওয়ার গন্ডগোল বেঁধে রয়েছে। তাই এই বছর মনে করা হচ্ছে আবহাওয়ার এই চরম খামখেয়ালি পানার জন্য নতুন ভাবে যোগ হতে চলেছে প্রবল ঠান্ডা। মানে ভারতবাসী এবার দীর্ঘ সময় ঠান্ডায় কাঁপবেন। আর যা পরিবেশ বিদ্যার ভাষায় বলা হয় লা নিনা (La Nina)।
বরফের মতো ঠান্ডা, কলকাতায় শীতের আগাম প্রস্তুতি জরুরি (La Nina)
বর্তমান দিনে আবহাওয়ার যা খামখেয়ালি অবস্থা। তাতে কখন গরম পড়ছে আর কখন ঠান্ডা তার বোঝা মুশকিল। তার ওপর চলতি বছর প্রথম থেকেই বৃষ্টির প্রকোপ বেশি। এর ফলে আসন্ন শীতে কলকাতা সহ রাজ্যে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। তারা আরো মনে করছেন এই বছর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠান্ডায় কাঁপবেন রাজ্যবাসী। আর এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠান্ডা থাকাকে পরিবেশ বিদ্যার ভাষায় বলা হয় লা লিনা (La Nina)।
আরও পড়ুন: শুষ্ক ত্বক থেকে বাঁচতে মরশুম বদলের সময় এই ৫ খাবার রাখুন ডায়েটে
পরিবেশ বিদদের মতে বর্ষাকাল শেষ হয় জুলাই আগস্ট মাস করে। কিন্তু চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাস শেষ হয়ে গেল বৃষ্টির থেকে নিস্তার পাচ্ছে না বঙ্গ। অতএব অতিরিক্ত বৃষ্টি, ধস, হড়পা বানি হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ডের মতন পাহাড়ি রাজ্যগুলি আপাতত বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। এমন কি পুজোর আগে কলকাতার অধিকাংশ জায়গা ভেসে গিয়েছিল ভয়ংকর বৃষ্টিতে।
আর এই বৃষ্টির ফলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সকলকে। তবে সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় দুর্ভোগ। কারণ বর্ষার পর এবার ভয়ংকর ভাবে পড়তে চলেছে শীত। পরিবেশবিদদের মতে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যাকে বলে সেটি এবার পড়বে, গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। আর এই ঠান্ডার কারণ হল লা-নিনা।
লা-নিনা (La Nina) তৈরি হবার কারণের অন্যতম বিষয় হল এই বছর উত্তর ভারতে ভয়ংকর শৈত প্রবাহ হবে। এমনটাই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। তাদের মতে চলতে বছর বেনজির বর্ষবরণের মুহূর্ত। পাশাপাশি অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লা-নিনা (La Nina) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৭১%।