বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের স্কুলে ফের নিয়োগের হাওয়া। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC) ২০২৫ সালের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের জন্য অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে ক্লার্ক, পিয়ন, ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট ও নাইটগার্ড, এই পদগুলিতে মোট ৮,৪৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়েছে।
নভেম্বরেই শুরু অনলাইন আবেদন (WBSSC) প্রক্রিয়া
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নিয়োগ প্রক্রিয়াটি (WBSSC) সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে হবে। আবেদন করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ৩ নভেম্বর থেকে আবেদন করতে পারবেন, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর ২০২৫। কমিশন জানিয়েছে পরীক্ষা হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে।
যোগ্যতা ও শূন্যপদ কত?
SSC-এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি বিভাগে মোট ২,৯৮৯টি ক্লার্ক পদ রয়েছে। এই পদের জন্য আবেদনকারীর অন্তত দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, গ্রুপ ডি বিভাগে ৫,৪৮৮টি শূন্যপদ রয়েছে, যার মধ্যে পিয়ন, ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট এবং নাইটগার্ড পদ অন্তর্ভুক্ত। এই বিভাগে আবেদনকারীর অষ্টম শ্রেণী পাস হওয়া আবশ্যক। প্রার্থীরা SSC-এর ওয়েবসাইটে লগইন করে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসারে অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের ১৭,২০৬ শিক্ষক ও ৮,৫৪৭ অশিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছিল। এরপর শিক্ষক নিয়োগের নতুন পরীক্ষা ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হলেও, অশিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তখনও কোনও সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি।
এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটাল বলেই মনে করা হচ্ছে।
অ-শিক্ষক পদ থেকে বরখাস্ত অমিত মন্ডল বলেন, “আমরা অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার শুরু হওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আমাদের জীবন বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এখন নতুন করে সুযোগ পেয়ে স্বস্তি পেয়েছি।”
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলে ঔদ্ধত্যের ভাইরাস!’ তবু ২৫০-র বেশি আসনের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ কুণাল ঘোষের
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে এত বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (WBSSC) প্রকাশ রাজ্য সরকারের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ ইস্যুতে চাপে থাকলেও, এবার সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে আশা প্রশাসনিক মহলের।