বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক ব্যর্থতা, ইনভেস্টর চলে যাওয়া, ফিফার রেজিস্ট্রেশন ব্যান, সব মিলিয়ে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অবস্থা এখন কার্যত দিশেহারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে গিয়ে ফের একবার চিঠি দিয়ে এলেন মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা। ক্লাব সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি ও সচিব ইস্তিয়াক আমেদ রাজুর সই করা চিঠিতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যাতে মহামেডানের জন্য একজন নতুন ইনভেস্টরের ব্যবস্থা করা যায়।
ফিফার ব্যান, খারাপ পারফরম্যান্সে বিপর্যস্ত ক্লাব
বর্তমানে ঘরোয়া লিগে মহামেডানের পারফরম্যান্স একেবারেই সন্তোষজনক নয়। অবনমনের আশঙ্কা থেকে শেষ মুহূর্তে মুক্তি পেলেও, দলের উপরে ফিফা রেজিস্ট্রেশন ব্যান জারি রেখেছে। এর ফলে নতুন খেলোয়াড় নথিভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ডুরান্ড কাপেও তেমন সাফল্য আসেনি। ইনভেস্টর চলে যাওয়ার পর ক্লাব এখনও পর্যন্ত কোনও নতুন ইনভেস্টরের নাম ঘোষণা করতে পারেনি, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে আশার আলো দেখছে মহামেডান কর্তারা
এই পরিস্থিতিতেই মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে ইনভেস্টর সংকটের জট খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মহামেডান কর্তারা। ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস ও বিলাল আহমেদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে গিয়ে চিঠিটি তুলে দেন। তাঁদের দাবি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র উদ্যোগই পারে ক্লাবকে এই দুরবস্থা থেকে মুক্তি দিতে।
এটি মহামেডান কর্তাদের প্রথম আবেদন নয়। এর আগে, ১২ অক্টোবরেও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে একই বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে সাফ জানানো হয়েছিল, “ইনভেস্টার ছাড়া আইএসএলে খেলা সম্ভব নয়। যদি ইনভেস্টারের ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে কার্যকরী কমিটির সবাই পদত্যাগ করবেন এবং দায়িত্ব ট্রাস্টির হাতে তুলে দেবেন।” কিন্তু ততদিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ইনভেস্টর সমস্যার জেরে কয়েকদিন আগেই ক্লাবের শীর্ষ কর্তারা ট্রাস্টির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত ট্রাস্টি সেই পদত্যাগ গ্রহণ করেননি। ফলে কার্যকরী কমিটি আপাতত দায়িত্বে থাকলেও, সময় ফুরিয়ে আসছে। ISL শুরু হওয়ার আগে ইনভেস্টর না পেলে মহামেডানের সামনে আরও বড় সমস্যা আসবে। এতে ISL খেলা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টে বাতিল সিবিআইয়ের আবেদন, সারদা মামলায় আপাতত স্বস্তি রাজীব কুমারের
সবমিলিয়ে, এক ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্তের উপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে হয়তো মহামেডান নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবে, নইলে এই ক্লাবের সামনে ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।