বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে। লালগোলার গঙ্গাভাঙন নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম টেনে কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে যখন মুখ্যমন্ত্রী-সহ বিরোধী দলনেতা সকলে দুর্যোগে ছুটছেন, তখন মুর্শিদাবাদের মানুষ তিন মাস ধরে বিপর্যয়ে ভুগছেন অথচ কেউ নজর দিচ্ছে না।”
লালগোলার গঙ্গাভাঙন নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন হুমায়ূন কবীর (Humayun Kabir)
লালগোলার গঙ্গা পাড়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ভূমিক্ষয়। গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি একটি কালীমন্দিরও ভেঙে পড়ে গঙ্গায় মিশে যায়। সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গে বন্যায় মৃত্যু হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী সেখানে গিয়ে বসে আছেন। শুভেন্দু অধিকারীরাও তাঁদের দলীয় পতাকা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন। অথচ তিন মাস ধরে লালগোলার তারানগর ডুবে যাচ্ছে, কেউ তাকাচ্ছে না।”
বিধায়কের অভিযোগ, প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব কেউই এই বিপর্যয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁর সরাসরি মন্তব্য, “মুর্শিদাবাদের মানুষ যদি সোচ্চার হই, তখন দেখবেন সবাই ছুটবেন।” পাশাপাশি মানুষের উদাসীনতা নিয়েও আক্ষেপ করে তিনি বলেন, “আমরা নির্বোধ, নিজেদের মধ্যেই কামড়া-কামড়ি করি। ন্যায্য দাবি নিয়ে কেউ লড়ি না।”
কেন্দ্রীয় উদাসীনতার প্রসঙ্গ টেনে বিধায়ক বলেন, *এই পরিস্থিতিতে পার পাচ্ছে কেন্দ্র। আমাদেরই জনপ্রতিনিধিরা দায় ঠেলে দিচ্ছেন।” তাঁর এই বক্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি ছড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার পাল্টা বলেন, “ওঁর কথা গুরুত্ব দেওয়ার মতো নয়। উনি তৃণমূলে আছেন কেন, সেটাই প্রশ্ন।”
আরও পড়ুনঃ ভুটানের জলেই বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব মমতা, সাড়া দিল কেন্দ্র
উল্লেখ্য, এর আগেও ‘দলবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) সতর্ক করা হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হয়। তবুও তিনি যে নিজস্ব ধারা থেকে সরেননি, আবারও সেটাই প্রমাণ করলেন মুর্শিদাবাদের এই বিধায়ক।