বাংলা হান্ট ডেস্কঃ খুব শিগগিরই বাংলায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা অর্থাৎ SIR ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তার আগেই ভোটার তালিকা নিয়ে বড় চাঞ্চল্য। ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আর ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তাতেই বেরিয়ে এসেছে একের পর এক অমিল, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে।
উত্তর ২৪ পরগনায় মাত্র ৪১ শতাংশ মিল
দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি বাদে রাজ্যের প্রায় সব জেলার ম্যাপিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে- উত্তর ২৪ পরগনায় মিল মাত্র ৪১ শতাংশ, কোচবিহারে ৪৬ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫০ শতাংশ, পশ্চিম বর্ধমানে ৪০ শতাংশেরও কম মিল রয়েছে। অর্থাৎ, এই জেলাগুলিতে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় থাকা অর্ধেকেরও বেশি নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল না। তবে কালিম্পংয়ে মিল কিছুটা বেশি, প্রায় ৬০ শতাংশ। এই অমিল সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এত নতুন ভোটার এল কোথা থেকে? সীমান্তে অনুপ্রবেশ বেড়েছে কি না, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
কমিশনের (Election Commission) যুক্তি
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) মতে, সবাই তো একই জায়গায় থাকেন না। কেউ মারা গেছেন, কেউ অন্য জেলায় বা রাজ্যে চলে গিয়েছেন। তাই ১০০ শতাংশ মিল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এই যুক্তি বিরোধীরা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুপ্রবেশকারীদের নামই ভোটার তালিকায় উঠছে, তাই এত পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, “বছরের পর বছর সীমান্তে নজরদারি কমেছে। এখন সেই প্রভাব ভোটার তালিকায় পড়ছে।”
দিল্লিতে কমিশনের বৈঠক
বুধবার থেকে দিল্লিতে সব রাজ্যের সিইও-দের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই বৈঠকের পর বাংলায় এসআইআর ঘোষণার সম্ভাবনা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। কমিশন সূত্রে খবর, ম্যাপিং রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই রাজ্যভিত্তিক সমীক্ষা শুরু হতে পারে। এই সমীক্ষা শুরু হলে সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেক ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ কালীপুজোর ২ দিনের মাথাতেই তারাপীঠ থেকে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র, গ্রেপ্তার ২
তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী স্পষ্ট করে বলেন, “নির্বাচন কমিশন কান খুলে শুনে রাখুক, একজন বৈধ ভোটারের নামও বাদ পড়লে তৃণমূল রাস্তায় নামবে। বিহারে বিজেপির চাপায় লক্ষ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় সেটা হতে দেব না।” SIR ঘোষণার আগে তাই সীমান্তে অমিল, কমিশনের (Election Commission) বৈঠক, আর শাসক-বিরোধী দফায় দফায় পাল্টা হুঁশিয়ারি, সব মিলিয়ে রাজ্যের রাজনীতি নতুন করে গরম হয়ে উঠেছে।