বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) পূর্বে ভুটান (Bhutan) সফরে গেলেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। যদিও সফরের কথা ছিল বৃহস্পতিবার। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে শেষমুহূর্তে বাতিল হয় সেই সফরসূচি। দিন বদলে আজ শুক্রবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী পড়শিদেশে পা রাখতেই তাকে স্বাগতম জানালেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
এদিকে ভুটান সীমান্তে চিনের লালফৌজের কার্যকলাপ বেড়েছে। তাই চিনা ড্রাগনকে বাগে রাখতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই ঝটিকা সফর কূটনৈতিক দিক দিয়ে ভারী গুরুত্বপূর্ন। বিষয়টি সম্পর্কে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর থিম্পু সফরে মূলত ‘Neighbour First’ অর্থাৎ ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো উন্নত করাই লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর। জানিয়ে রাখি ভুটান সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতীয় সহযোগিতায় নির্মাণ হওয়া অত্যাধুনিক হাসপাতাল এবং শিশু চিকিৎসাকেন্দ্রেরও উদ্বোধন করবেন। লোকসভা ভোটের আগে ভুটানে যাওয়ার পরিকল্পনা বৃহৎ কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন : শূন্য পেলেও পাশ! বিরাট বদল আনতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, ভুটানে গত জানুয়ারি মাসেই সাধারণ নির্বাচন হয়। আর সেখানে নিজেদের হাতের পুতুল এমন কাওকে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিল বেজিং। কিন্তু সেইসমস্ত পরিকল্পনা বানচাল করে দিয়ে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় বসেন ভারতের বন্ধু শেরিং। এমতবস্থায় লোকসভা ভোটের আগে ভুটানে গিয়ে চিনের উদ্দেশ্যে বড় বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : ‘কর্মের ফল…’, কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির পর মুখ খুললেন ‘গুরু’ আন্না হাজারে
উল্লেখ্য যে, লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ জারি করা হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রতিটি দলই তাদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত। প্রধানমন্ত্রী মোদীও বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন নির্বাচনের প্রচারের স্বার্থে। তাই অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরকেও রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন। বিশেষ করে গেলবার বিধানসভা ভোটের সময় বাংলাদেশের মতুয়া তীর্থক্ষেত্রে যাওযার পর থেকেই এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এখন দেখার ভুটান থেকে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জন্য কোন বিশেষ বার্তা দেন কিনা!