বাংলা হান্ট ডেস্ক: শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দিনভর চলে তল্লাশি (ED Raid)। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা মন্ত্রীমশাইয়ের একটি মোবাইলও।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, তল্লাশি চালিয়ে চন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রের সকাল ৯টার দিকে চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে টানা তল্লাশি। মুহূর্তের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ইডি।
প্রায় ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি, আর তাতেই নগদ ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হল মমতার আরেক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে। ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) সূত্র ধরে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রীর নাম সামনে এসেছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রের দাবি, তল্লাশি চালিয়ে কুন্তলের বাড়ি থেকে নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক তথ্য মিলেছিল। একটি রেজিস্টারও পাওয়া গিয়েছিল। আর তাতেই নাকি নাম ছিল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার।
আরও পড়ুন: আদালতে CID, বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীকে নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে আরও দাবি, কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে রেজিস্টারে মন্ত্রীর নামের পাশে ১০০ জনের নামের একটিকে ছিল। তবে তালিকায় থাকা ওই নাম চাকরিপ্রার্থীদের কী না, তার সঙ্গে মন্ত্রীর কী যোগ! এই রকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ময়দানে নেমেছে ইডি। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে আরও খবর, কুন্তল এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে এক জন মিডলম্যান ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও মন্ত্রীর নাম সামনে এসেছে।
এদিকে নিজের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা সহযোগিতা করেছি। যা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন, আমরা সব উত্তর দিয়েছি। ওনারাও বুঝেছেন। এছাড়া আর কিছু না।’’