‘SIR হোক, ক্ষতি কী?’, অনুব্রতর পাল্টা সুরে অস্বস্তিতে তৃণমূল

Published on:

Published on:

Anubrata Mondal backs SIR amid TMC strong opposition

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তখনও শুরু হয়নি এসআইআর। রাজ্য জুড়ে তখন এসআইআর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তিনি “মোথাবাড়ি লণ্ডভণ্ড করে দেবেন।” আর মঙ্গলবার একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু তার মধ্যেই ভিন্ন সুর শোনা গেল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গলায়।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে “বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করব।” দলের দুই শীর্ষ নেতা যখন একের পর এক তোপ দাগছেন কমিশনের বিরুদ্ধে, তখন হঠাৎই একদম ভিন্ন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) যে মন্তব্য করলেন তা নিয়ে শাসক দলের অন্তরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

SIR প্রসঙ্গে কি বললেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)?

বীরভূমের ‘বাঘ’ হিসেবে পরিচিত অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে এসআইআর চালু হওয়ার পর তিনি মন্তব্য করে বলেন, “এসআইআর চালু হোক না। অসুবিধা কী আছে? এসআইআর হলে তো ভালই হবে। খারাপের কিছু নেই, এত ভাল জিনিস। এতে খারাপের কিছুই হবে না।”

অনুব্রত এই মন্তব্যে মুহূর্তে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। কারণ, যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছেন, সেদিনই দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত সম্পূর্ণ বিপরীত সুরে কথা বলছেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বলেন, “আমি সাংসদ হিসাবে এদের ওয়ার্নিং দেব, আজ নয় কাল সরকার বদলাবে। জ্ঞানেশবাবু দেশ ছেড়ে পালাবেন না। বিজেপি থাকবে না, দেশের সংবিধান থাকবে। অমিত শাহ থাকবে না। তখন যেখানে থাকবেন খুঁড়ে নিয়ে আসব। জবাবদিহি মানুষের কাছে দিতে হবে। আপনার অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে, সময় মতো মানুষের সামনে আনব।”

Anubrata Mondal backs SIR amid TMC strong opposition
আরও পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকার জামিনে মুক্ত কসবা ল কলেজ কাণ্ডের অভিযুক্ত, রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে গেলেন নির্যাতিতা

অভিষেকের এই হুঁশিয়ারি ঘিরে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তার মধ্যে আবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা যখন নির্বাচনী কমিশনের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দাগছেন, তখন অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মন্তব্যে দলের ভেতরেই তৈরি হয়েছে অস্বস্তি।