বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে মদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই সামনে আসছে। পশ্চিমবঙ্গও এর ব্যতিক্রম নয়। মাঝেমধ্যেই শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই এই ধরনের অভিযোগ ওঠে। ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য মদ বিলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
এই ধরনের বেআইনি কাজ আটকানোর জন্য বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে আবগারি দপ্তরও।ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশন বেআইনি কাজ রোধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই আবগারি দপ্তরের তরফে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে মদের দোকান ও পানশালাগুলির উপর।
আরোও পড়ুন : জারিজুরি শেষ! INS কলকাতার দাপটে নতজানু জলদস্যুরা, ৩৫ জনকে ধরে আনা হল ভারতে
প্রতিদিনের তুলনায় ৩০ শতাংশও যদি বেশি মদ বিক্রি হয় তাহলেও সেই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে আবগারি দপ্তর। মদের আমদানি ও রপ্তানি রোখার জন্য এই সময়টা বন্ধ করে দেওয়া হয় অন্ত:রাজ্যগুলির সীমানা। উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খণ্ড বা সিকিমের মতো রাজ্য ও নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলি থেকে যাতে সস্তার মদ আসতে না পারে সেই দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। নাকা চেকিং চলছে চেকপোষ্টে।
আবগারি দপ্তর বলছে, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর বাড়িতে মদ মজুতের পরিমাণের নির্দিষ্ট সীমা নেই। সাধারণ সময় যে পরিমাণ মদ রাখা যায় তা এই সময়ও রাখা যেতে পারে। সাধারণত বাড়িতে ১২ লিটারের বেশি দেশি মদ রাখা যায় না। তবে বিদেশী মদের ক্ষেত্রে যত খুশি বোতল বাড়িতে রাখা যায়। এই মদের বোতলের যথাযথ বিল কাছে থাকলে কোনও সমস্যা হবে না।