ভারতের একটি সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশে তোলপাড়! লাফিয়ে বাড়ল এই জিনিসের দাম

Published on:

Published on:

A decision by India causes uproar in Bangladesh.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে বাংলাদেশে (Bangladesh) পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত হচ্ছেন বাংলাদেশের মানুষ। দেশের রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা সহ আরও একাধিক শহরের বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়।

বাংলাদেশে (Bangladesh) হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম:

কয়েকদিন আগেও বাংলাদেশে (Bangladesh) একই পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। খুচরো দোকানদাররা জানিয়েছেন যে, পাইকারি বাজার থেকে তারা বেশি দামে পেঁয়াজ পাচ্ছেন। তাই, তারা কার্যত বাধ্য হয়েই বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

A decision by India causes uproar in Bangladesh.

পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছে ভারত, সরবরাহের ওপর পড়েছে প্রভাব: BBC বাংলার একটি রিপোর্ট অনুসারে, দেশীয় পেঁয়াজের মজুত বর্তমানে প্রায় শেষের দিকে। এদিকে, ভারত থেকে আমদানিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের বাজারে। চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর (Bangladesh) আমদানিকারীরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে আমদানি পুনরায় শুরু না হওয়া বা বাজারে নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন: চিয়ার্স! বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সুরার দাপট, তৈরি নয়া রেকর্ড, জানলে হবেন “থ”

এদিকে, বাংলাদেশের (Bangladesh) কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দামের এই বৃদ্ধি সম্পূর্ণরূপে ন্যায্য নয়। সংগঠনটির অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন, যাতে সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমদানির অনুমতি দেয়।

আরও পড়ুন: হয়ে গেল বড় ঘোষণা! বিক্রির জন্য প্রস্তুত RCB, কবে নতুন মালিক পাবে বিরাট কোহলির দল?

ফসল দেরিতে মিলছে: উল্লেখ্য যে, এই বছর বাংলাদেশের (Bangladesh) কিছু অংশে রবি মরশুমের পেঁয়াজ দেরিতে মিলছে। সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফসল পাওয়া যায়। তবে এবার তা দেরি হচ্ছে। আমদানিকারী এবং ব্যবসায়ীরা অনুমান করছেন যে, সরকার যদি অবিলম্বে আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে বাজার স্বস্তি দেখতে পাবে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আসল সমাধান হল বাজারে কঠোর পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনে সময়মতো আমদানি।