“মামলার ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করছে পরীক্ষার ভবিষ্যৎ”, SSC মামলায় মন্তব্য কলকাতা হাই কোর্টের

Published on:

Published on:

Calcutta High Court observation puts SSC written exams on hold
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC-র নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ আপাতত ঝুলে রইল আদালতের সিদ্ধান্তের উপর। শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নম্বর ধার্য এবং অভিজ্ঞতার নম্বর নিয়ে ওঠা মামলার শুনানিতে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্যে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে।

কী বলেছে হাই কোর্ট (Calcutta High Court)?

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) এক মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “লিখিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে মামলার ভবিষ্যতের ওপর।” মামলাটি দায়ের হয়েছিল এই প্রশ্নে যে, শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যে নম্বর ধার্য করা হয়েছে, তা ইন্টারভিউয়ের আগে দেওয়া হবে, নাকি মেধাতালিকা প্রকাশের আগে। পাশাপাশি, মামলাকারীরা প্রশ্ন তোলেন, ২০১৬ সালে যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরাও কেন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পাবেন, এই নিয়েও।

অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিচারপতির এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এই পর্যবেক্ষণের পর নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এখন কার্যত নির্ভর করছে আদালতের (Calcutta High Court) পরবর্তী রায়ের ওপর। আগামী ১২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে SSC-র একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল। তবে ওয়েবসাইটে ফল দেখতে গিয়ে অনেক প্রার্থীকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। একাদশ-দ্বাদশ স্তরে ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এই পদগুলির জন্য আবেদন করেছিলেন মোট ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন চাকরিপ্রার্থী, যার মধ্যে ৩ হাজার ১২০ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের হার ছিল প্রায় ৯৩ শতাংশ। ১০০টি শূন্যপদের জন্য সাক্ষাৎকারের ডাক পাবেন ১৬০ জন করে প্রার্থী। অর্থাৎ, মোট ৩৫ হাজার ৭২৬টি শূন্যপদের জন্য প্রায় ৬০ হাজার প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে।

Calcutta High Court observation puts SSC written exams on hold

আরও পড়ুনঃ খাজুরাহো থেকে বেঙ্গালুরু, বারাণসী থেকে ৪টি বন্দে ভারত উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

SSC সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাকারী আটজন চাকরিপ্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকতা করেন। তাঁদেরও যেন রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের মতোই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়া হয়, সেই দাবি জানানো হয়েছে আদালতে। এই মামলার নিষ্পত্তিই এখন নির্ধারণ করবে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরবর্তী ধাপ। তাই আপাতত নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও ভবিষ্যৎ, দু’টিই নির্ভর করছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ওপর।