বাংলাহান্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে ১১০ টি ‘ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র’এর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘুরে ঘুরে রাজ্যের মানুষের কাছে বিভিন্ন রকমের পরিষেবা পৌঁছে দেবে এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। চোখের পরীক্ষা, ইএনটি পরীক্ষা, এলএফটির মতো পরীক্ষা থেকে ইউএসজি, প্রসূতি ও তার শিশুর পরীক্ষার মতো নানাবিধ পরীক্ষা সম্ভব হবে এই নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই। জানা যাচ্ছে, মূলত গ্রামীণ এলাকা, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবার মানোন্নয়ন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের জন্য নতুন ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)
এগুলি এক একটি মোবাইল ইউনিট। এক একটি ইউনিট তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। প্রায় ৩৫ রকমের পরীক্ষা করা সম্ভব এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, যে এলাকাগুলিতে সবথেকে বেশি প্রয়োজন রয়েছে, তার উপরে ভিত্তি করেই সেই জায়গাগুলিতে এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি পাঠানো হবে।

কী পরিষেবা মিলবে: ঘুরে ঘুরে পরিষেবা দেবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। রোগীর পরিস্থিতি, তার যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন সেই মতোই দেওয়া হবে পরিষেবা। রোগীকে অন্যত্র রেফার করার প্রয়োজন পড়লে সেটাও করা হবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি (Mamata Banerjee) থেকে। এমনকি আলাদা ভাবে অ্যাম্বুলেন্সও ডাকা যাবে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে।
আরও পড়ুন : এটাই এনুমারেশন ফর্মের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কীভাবে নির্ভুল ভাবে করবেন ফর্ম ফিল আপ? জানাল কমিশন
আগে থেকেই ছিল ভাবনা: মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এদিন মুখ্যসচিব বলেন, অনেকদিন আগে থেকেই এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির ভাবনা ঠিক করা ছিল।
আরও পড়ুন : ডেডলাইন পেরোলেও বাংলাদেশেই আটকে অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি সহ ৬ জন, আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্র
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার কথা বলে মুখ্যসচিব জানান, এই ভ্রাম্যমাণ ইউনিট তৈরির ভাবনা যখন হচ্ছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করেছিলেন যাতে মানুষের কাছে এই ইউনিটগুলি পৌঁছে যেতে পারে।












