বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Delhi Blast) ঘটে। ওই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। এদিকে, ওই ঘটনার প্রায় ২ দিন পর এমন কিছু তথ্য সামনে এসেছে যেগুলি রীতিমতো চমকে দেবে। ইতিমধ্যেই সূত্র NDTV-কে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা ২৬/১১ মুম্বাই হামলার আদলে দিল্লিতেও ধারাবাহিক হামলা চালাতে চেয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটা বিস্ফোরণের তদন্তে জানা গেছে, রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে টার্গেট করা হয়। যার মধ্যে ছিল লালকেল্লা, ইন্ডিয়া গেট, কনস্টিটিউশন ক্লাব এবং গৌরী শঙ্কর মন্দির। পাশাপাশি, সারা দেশের রেল স্টেশন এবং শপিং মলেও হামলার পরিকল্পনা রয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলার সময়, তাজমহল হোটেল থেকে শুরু করে ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল, ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এবং লিওপোল্ড হাসপাতাল সহ ১২ টি স্থানে একইসঙ্গে গুলি ও বোমা হামলা চালানো হয়েছিল।
দিল্লিতে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Delhi Blast):
দিল্লি বিস্ফোরণে কবে থেকে শুরু ষড়যন্ত্র: জানা গিয়েছে যে, গত জানুয়ারি মাস থেকে দিল্লিতে বিস্ফোরণের (Delhi Blast) ষড়যন্ত্র চলছিল। সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান-ভিত্তিক জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদী মডিউলটি কয়েক মাস ধরেই হামলার পরিকল্পনা করছিল। ওই গোষ্ঠীটি ২০০ টি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) বা সহজ ভাষায় বোমা প্রস্তুত করছিল। যেগুলি শুধুমাত্র দিল্লিতেই নয় বরং গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদেও হাই-প্রোফাইল এলাকাগুলিকে টার্গেট করে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল।

সূত্র জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদীরা ধর্মীয় স্থানগুলিকে লক্ষ্য করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে শুরু করে শোপিয়ান এবং অনন্তনাগের কিছু উগ্রপন্থী চিকিৎসককে তাদের “হোয়াইট কলার” কভারের কারণে এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। তারা দ্রুত ফরিদাবাদে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করে।
এদিকে, চিকিৎসক হওয়ায়, তারা সন্দেহের তালিকায় না থেকেই NCR-এ সহজেই ঘুরে বেড়াতে পারত। এরপর তারা ধৌজ এবং ফতেহপুর তাগা এলাকায় ঘর ভাড়া করে বিস্ফোরক (Delhi Blast) মজুত করে। যেখানে তাদের কার্যকলাপ সন্দেহাতীতভাবে পরিচালিত হত।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৬-এ বদলাবে RCB-র হোম গ্রাউন্ড? এই স্টেডিয়ামের কাছ থেকে বিশেষ অফার পেল কোহলির দল
সন্দেহভাজনরা: হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজনদের মধ্যে ৩ জন চিকিৎসক রয়েছে। তারা হল শাহীন সাঈদ, মুজাম্মিল শাকিল গানালে এবং আদিল রাথে। এদিকে, চিকিৎসক উমর নবীকে ১০ নভেম্বর বিস্ফোরণে (Delhi Blast) নিহত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসক সাঈদের সঙ্গে কাজ করা আরও ৩ জন চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে শুরু হতে চলেছে টেস্ট ম্যাচ! কেমন রয়েছে পিচ? জানালেন সৌরভ
এদিকে, CCTV ফুটেজে দেখা গেছে, লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ধীরগতিতে যানবাহতৃ চলাচলের সময় একটি হুন্ডাই i20 গাড়িতে বিস্ফোরণটি (Delhi Blast) ঘটে। উল্লেখ্য যে, আরও জানা গিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা আগে দীপাবলির সময়েও একটি জনাকীর্ণ স্থানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। সূত্র জানিয়েছে মুজাম্মিল যাকে বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।












