বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কলকাতার বড়বাজারে (Burrabazar Fire)। ঘিঞ্জি এলাকার ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকান থেকে শুরু হয়ে মুহূর্তে পাশের বিল্ডিংয়েও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। সকাল থেকেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
কীভাবে আগুন লাগল?
শনিবার ভোর প্রায় ৫টা নাগাদ আগুন লাগে বড়বাজারের (Burrabazar Fire) ১৭ নম্বর এজরা স্ট্রিটের একটি ইলেকট্রিক সামগ্রীর দোকানের দ্বিতীয় তলে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন বাড়তে থাকায় দমকলে খবর দেওয়া হয়। প্রথমে ৬টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। পরে আরও ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে এবং মোট ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়ে। দোকানে প্রচুর ইলেকট্রিক সামগ্রী মজুত থাকায় একের পর এক দুমদাম শব্দে বিস্ফোরণ হতে থাকে। এসি ও বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি থাকায় আগুনের দাপট দ্রুত বাড়ে।
আগুনের ভয়াবহতা বাড়ছে
দোকান থাকা বিল্ডিংটি সম্পূর্ণভাবে আগুনের (Burrabazar Fire) কবলে পড়ে। আগুনের দাপট বাড়তে থাকায়, উল্টোদিকের বিল্ডিংয়েও আগুন ছড়াতে শুরু করে। প্রথমে একটি তলে আগুন দেখা গেলেও পরে একের পর এক তল জ্বলে ওঠে এবং আগুন ছড়িয়ে যায় ছাদ পর্যন্ত। ঘিঞ্জি এলাকা এবং দাহ্য পদার্থে ভরা দোকান হওয়ায় আগুন হু হু করে বাড়ছে। সিলিন্ডার ফাটার শব্দও শোনা যাচ্ছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দমকল বাহিনী জানাচ্ছে, আগুনের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছনো যাচ্ছে না। বিল্ডিংয়ের মাঝের অংশে আগুন সবচেয়ে ভয়াবহ। সেটি নিভিয়ে না ফেললে পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন। দুই দিক থেকে জল ছিটিয়ে দমকল কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে পৌঁছতে পারলেও তীব্র তাপের জেরে এগোতে পারছেন না। এলাকার বহু বাড়ির ছাদের টিন তাপে তেঁতে গেছে, ফলে উপরে ওঠা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দমকল কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও আশেপাশের বাড়ি থেকে জল দিয়ে সহযোগিতা করছেন (Burrabazar Fire)।

আরও পড়ুনঃ ‘একই হাল হবে মমতার’, বিহারে জয়ের পর বাংলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু বললেন…
এখন কী পরিস্থিতি?
আগুন লাগা বিল্ডিংটি পুরোপুরি গ্রাস করেছে আগুন। উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ের ছাদ পর্যন্ত আগুন চলে গিয়েছে। বিস্ফোরণ থামছে না। পরিস্থিতি যাতে আরও ভয়াবহ না হয়, তাই আশেপাশের সব বাড়িতে অগ্নিসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভাতে দমকলের চেষ্টা অব্যাহত। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে, আগুন ততই বাড়ছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে (Burrabazar Fire)।












