বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক মাসে একের পর এক রক্তক্ষয়ী হামলার সম্মুখীন হয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। সেই রেশ বজায় রেখেই পড়শি দেশের অশান্ত অঞ্চল খাইবার পাখতুনখোয়া আবারও বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলায় কেঁপে উঠেছে। সেখানে প্রতিনিয়তই এহেন ঘটনা ঘটছে। জানিয়ে রাখি যে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে গত সপ্তাহে ২ দিনে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী ঘটনা এবং নিরাপত্তা অভিযানে একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার সহ ছয় নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, খতম হয়েছে ১২ জন সন্ত্রাসবাদী। গত রবিবার আধিকারিকরা এই তথ্য সামনে এনেছেন। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মিডিয়া শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) জানিয়েছে, বেলুচিস্তান প্রদেশে দু’টি ঘটনায় চারজন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে।
ISPR জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়াতে (কেপি) ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি তহসিলের কোট সুলতান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৮ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। পাশাপাশি, এটাও জানানো হয়েছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী ওই নিহত সন্ত্রাসবাদীদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।
উল্লেখ্য যে, শুক্রবার রাতে খাইবার পাখতুনখোয়ার লাকি মারওয়াতে ২ টি সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১ জন DSP এবং ২ জন পুলিশকর্মী নিহত হন। পাশাপাশি, ১ জন কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। তাঁরা এটাও বলেছেন যে, ওই DSP ঈদ-উল-ফিতর উৎসবের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার জন্য অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সাথে পেশোয়ার-করাচি হাইওয়েতে একটি অস্থায়ী পোস্ট স্থাপন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: সূর্যগ্রহণের সময় বড় কাজ করবে ISRO! কোমর বাঁধছে Aditya-L1
ঠিক কি ঘটেছে: একটি খবরে বলা হয়েছে, পুলিশকর্মীরা পোস্ট থেকে ফেরার সময় মঞ্জিওয়ালা চকের কাছে সন্ত্রাসবাদীরা পুলিশের গাড়িতে গুলি চালায়। যার ফলে DSP এবং কনস্টেবল নাসিম গুল নিহত হযন। “ডন” পত্রিকার একটি খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার রাতে সারা দরগা এলাকায় আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে অজ্ঞাত হামলাকারীরা কনস্টেবল সনমত খানের ওপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন: সঙ্কটে পড়েই বদলে গেল সুর! “জেদ ছেড়ে” ভারতের সাথে ব্যবসা শুরু করতে মরিয়া কাঙাল পাকিস্তান
খবর অনুযায়ী, শনিবার বাজাউর জেলার মামুন্দ তহসিলে আরও একটি বিস্ফোরণে একজন পুলিশ আধিকারিক নিহত এবং আরেকজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি, শনিবার রাতেই ট্যাংক জেলার মিয়া লাল পুলিশ চৌকির কাছে অজ্ঞাতপরিচয় কেউ একজন হেড কনস্টেবলকে হত্যা করে। এদিকে, লাকি মারওয়াতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।