চড়েন তো EMU আর MEMU দুটোতেই! কিন্তু এই দুই ট্রেন আলাদা কোথায় জানেন ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাতায়াতের জন্য বহু মানুষ ভরসা করেন রেলের উপর। স্থানীয়ভাবে যাতায়াতের জন্য লোকাল ট্রেন, দূরবর্তী স্থানে যাওয়ার জন্য দূরপাল্লার ট্রেন কিংবা এক্সপ্রেস ট্রেন, প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন চলাচল করে গোটা দেশ জুড়ে। ভারতীয় রেলের এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা আমাদের কাছে অজানা। যেমন ধরুন অনেকেই জানেন না যে তারা EMU নাকি MEMU ট্রেনে সফর করছেন। এই পার্থক্য কিন্তু লোকাল ট্রেনেই রয়েছে।

EMU ট্রেন : কলকাতা ও হাওড়ার শহর ও শহরতলীর বাসিন্দারা অবশ্যই সফর করেছেন EMU ট্রেনে। যাত্রীদের কাছে যাতায়াতের জন্য ভরসার অন্যতম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। শহরতলির সঙ্গে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সংগঠিত করে EMU ট্রেন। এই ট্রেনের কোচগুলি বেশ চওড়া। এছাড়াও চওড়া জানলা-দরজা হওয়ায় ভালোভাবে হাওয়া চলাচল করতে পারে।

আরোও পড়ুন : যাদবপুরের জয়জয়কার! বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে উঠল ভারতসেরার নাম, ফার্স্ট পজিশনে JNU

১৯৫৭ সালে হাওড়া-শেওড়াফুলি সেকশনে প্রথম চলাচল শুরু করে EMU ট্রেন। ৯ বা ১২ কোচের হয়ে থাকে EMU ট্রেন। ট্রেলার কোচে ১১৩ জন, মোটর কোচে ৯৮ জন যাত্রী বসতে পারেন। ২৫ KV AC ট্র্যাকশন এবং কনভার্টারের সাহায্যে চলে এই ট্রেনের ডিসি মোটরগুলি। হাওড়া ডিভিশনে ৩৮৬টি লোকাল এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৮৮৬টি লোকাল EMU ট্রেন চলে।

hqdefault (1)

MEMU ট্রেন : MEMU ট্রেন বা Mainline EMU ট্রেন একরকমই দেখতে লাগে। শহরতলির বাইরের অঞ্চলে স্বল্প এবং মাঝারি দূরত্বের সফরে এই ট্রেন চলে। EMU ট্রেনের তুলনায় MEMU ট্রেনের দৈর্ঘ্য  বড় হয়। আসানসোল-আদ্রা বিভাগে ১৯৯৫ সালে MEMU পরিষেবা প্রথম শুরু হয়। ১৪১ টি MEMU ট্রেন বর্তমানে পূর্ব রেল চালায়।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর