বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি-র (SSC) নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি এবং নিয়োগ নিয়ে টানাপোড়েন ক্রমেই বাড়ছে। সুপ্রিম কোর্টের কড়া মন্তব্যের পর হাইকোর্টেও উঠল অসন্তোষের সুর। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই নথি যাচাই নিয়ে তাড়া দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এসএসসি মামলা নিয়ে খুব প্রকাশ বিচারপতি সিনহার
এসএসসি-র মামলা নিয়ে যখন বুধবারই বড় প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট, ঠিক তার পরের দিনই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মূল অভিযোগ পরীক্ষার ভবিষ্যৎই যখন নিশ্চিত নয়, তখন নথি যাচাইয়ের এত তাড়া কেন?
বৃহস্পতিবার তাঁর এজলাসে এক আইনজীবী বারবার জানাচ্ছিলেন যে খুব শীঘ্রই নথি যাচাই শুরু হতে চলেছে। তাই শুক্রবারেই যেন অন্য এসএসসি মামলার (SSC) সঙ্গে এই মামলাটিরও শুনানি নেওয়া হয়। সেই দাবি শুনেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করে বলেন, “পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী কেউ জানে না, আর আপনি নথি যাচাই নিয়েই ব্যস্ত!” বিচারপতি এরূপ মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট এখনও কাটেনি। তার উপরে নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে যেভাবে বিতর্ক বাড়ছে, তাতে নথি যাচাইয়ের তাড়াহুড়ো কতটা যুক্তিযুক্ত সেটাই প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় যাঁরা ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থী ছিলেন, তাঁদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই পুরনো প্রার্থীদের সঙ্গেই নতুন চাকরিপ্রার্থীদের একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলে ‘এমন নির্দেশ কোথাও ছিল না।’ এরসঙ্গে পরিষ্কার করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় যে, এসএসসি (SSC) পরীক্ষা সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি চলবে কলকাতা হাইকোর্টেই।
কোথা থেকে শুরু বিতর্ক?
নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষোভ ছিল পুরনো আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের অভিযোগ অভিজ্ঞতার জন্য বাড়তি ১০ নম্বর দেওয়ার নিয়ম নতুন প্রার্থীদের পিছিয়ে দিচ্ছে। অনেকেই দাবি করেন, এতে সিস্টেমে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। এই নিয়ে নতুনদের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়তে থাকে। ফুল নম্বর পেলেও ভেরিফিকেশনের ডাক পাননি অনেকেই, কারণ অভিজ্ঞতা বোনাস হিসেবে পুরনোরা সরাসরি অতিরিক্ত ১০ নম্বর পেয়েছেন। ফলে তাঁরা এগিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে শুরু হয় নতুন আন্দোলন।

আরও পড়ুনঃ SIR বিতর্কে নতুন মোড়, আধার-ভোটার সম্পর্ক নিয়ে তীব্র প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
এসএসসি (SSC) কী বলেছিল?
এসএসসি (SSC) আগেই জানায়, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পুরনো প্রার্থীরা ১০ নম্বর অতিরিক্ত পাবেন। কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সেই অতিরিক্ত নম্বরের কারণেই নতুনদের অনেকেই টপ র্যাঙ্কিং থাকা সত্ত্বেও বাদ পড়ছেন।এই নিয়ে ক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।












