বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেট্রো রেলের (Kolkata Metro) ব্লু লাইনের উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একাধিক রুটে মেট্রো সম্প্রসারণ হওয়ায় সবথেকে পুরনো ব্লু লাইনে একের পর এক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে মেট্রো অনিয়মিত হয়ে পড়ায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। তাই এই রুটে মেট্রোর ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করতে বেশ কিছু কাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ব্লু লাইনে বাড়ানো হবে ফ্রিকোয়েন্সি
বর্তমানে ব্লু লাইনে মেট্রোর পিক আওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি ৫ মিনিট। এ বিষয়ে মেট্রোর এক কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে এটি ৩ মিনিটে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ৯০ সেকেন্ডে মেট্রো চলাচল নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এর জন্য একটু সময় লাগবে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

সংস্কার করা হবে মেট্রো টানেল: একই সঙ্গে পুরনো টানেলের সংস্কারের দিকেও নজর রয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের। টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত ৪০ বছরেরও পুরনো টানেল কীভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে রাইটস নামের পরামর্শদাতা সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সিভিল স্ট্রাকচার, ট্র্যাক এবং বৈদ্যুতিক, সিগন্যালিং সিস্টেম। প্রায় ৪-৫ বছর সময় লাগতে পারে এ কাজে। তবে কাজ চলাকালীন যাতে যাত্রী পরিষেবাও স্বাভাবিক রাখা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : শীতেও পেল্লাই ইলিশ ধরা পড়ল জালে, চড়া দামে বিকোলো মরশুম শেষের মাছ
কী কী উন্নয়ন হবে: জানা যাচ্ছে, ব্লু লাইনে (Kolkata Metro) আরও সাতটি সাবস্টেশন তৈরি করা হবে। অন্যদিকে তৃতীয় রেল ধীরে ধীরে স্টিল থেকে অ্যালুমিনিয়ামে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ পরিবহন আরও ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের ত্বরণ দ্রুত হওয়ায় তিন মিনিটের ব্যবধান অর্জন করা সহজতর হবে।
আরও পড়ুন : ২৬ লক্ষের নামই মিলছে না! ডাকা হতে পারে হিয়ারিংয়ে, এই তথ্য না মিললেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে নাম
উল্লেখ্য, বর্তমানে মেট্রোর ব্লু লাইনে TPWS সিস্টেমে ট্রেন চলাচল করে। তবে ভবিষ্যতে CBTC সিস্টেমে আপগ্রেড করা হবে এটি। বর্তমানে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫৫ কিমি গতিবেগে চলে মেট্রো। তবে উপরোক্ত প্রক্রিয়াগুলির মাধ্যমে ধাপে ধাপে ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হবে।












