বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (ArpitaMukherjee) তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই কারণে দৈনন্দিন জীবনযাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে দাবি অর্পিতার। এ বার ওই অ্যাকাউন্টগুলি ফের ব্যবহার করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি, অর্পিতার (Arpita Mukherjee)
গত মাসেই ইডি-র ফ্রিজ করে দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে নগর দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। তাঁর দাবি, ওই তিনটি অ্যাকাউন্ট ২০০৪ সালে খোলা হয়েছিল, যখন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কোনও অস্তিত্বই ছিল না। তাই এত বছর পর সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে রাখার যৌক্তিকতা নেই।
সোমবার মামলার শুনানিতে অর্পিতার (Arpita Mukherjee) আইনজীবী গোপাল হালদার আদালতে জানান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে না পারার কারণে তাঁর মক্কেলের খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে নিত্যদিনের জীবনযাপনের খরচ চালাতে চরম অসুবিধা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত কিছু নথিও আদালতে জমা দেন তিনি।
যদিও বিচারক জানান, জমা দেওয়া নথিগুলির প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এর পর অর্পিতার (Arpita Mukherjee) আইনজীবী আরও কিছু সময় চেয়ে নেন। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আইনজীবীর বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে ২০১৪ সালে। অথচ অর্পিতার (Arpita Mukherjee) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ২০০৪ সালের এবং সেগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে ২০২২ সালে। তাঁর দাবি, এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। অর্পিতা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন বলেও দাবি করেন তিনি। আইনজীবীর কথায়, সেই সময়ে অভিনয় ও মডেলিং করেই রোজগার করতেন অর্পিতা, আর ওই টাকা যে দুর্নীতির, তার কোনও প্রমাণ নেই।
আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) নিজেও বলেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকার কারণে তাঁর জীবনে সমস্যা হচ্ছে। জীবন চালানোর জন্য নিজের কিছু দরকার, কিন্তু বর্তমানে সে ভাবে কিছুই নেই বলে জানান তিনি। তবে বিষয়টি আদালতের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন অর্পিতা।
আরও পড়ুনঃ ‘বাবা-মা আমাকে এই শিক্ষা দেয়নি’, গীতাপাঠে কেন অনুপস্থিত ছিলেন মমতা? স্পষ্ট জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
জেল থেকে মুক্তির পর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ হয়েছে কি না এই প্রশ্নে অবশ্য কোনও উত্তর দেননি অর্পিতা (Arpita Mukherjee)। সংক্ষিপ্ত ভাবে বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানতে না চাওয়াই ভাল। এর পরই তিনি গাড়িতে উঠে আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান।












