বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি ‘কাঁটা’য় বারবার বিদ্ধ হতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress)। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন, একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের হেভিওয়েটদের। এবার ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে! এই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলপির (Kulpi) করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।
সম্প্রতি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা মিটিয়েছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে সেই টাকাও ঢুকেছে। তবে অনেকের অভিযোগ, কাজ করলেও তাঁরা কোনও টাকা পাননি। এদিকে আবার তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কাজ না করেও টাকা পেয়েছে। এখানেই শেষ নয়! যারা টাকা পেয়েছেন, এমন কয়েকজনের থেকে প্রাপ্ত টাকার একটি অংশ দাবি করেন করঞ্জলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝি।
গোটা ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এই এলাকা। দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শনও হয়েছে। শেষ অবধি বুধবা গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানে স্বপন মাঝি সহ তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা। অক্লান্ত পরিশ্রমের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে এই অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এরপর বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে তিন তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ছেলেকে বাঁচাতে…! এবার ‘মহাগুরু’ মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘গদ্দার’ বলে তীব্র আক্রমণ মমতার
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। তবে গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন। প্রাপ্য টাকা না পাওয়া অবধি তৃণমূল নেতাদের ছাড়তে রাজি ছিলেন না তাঁরা। তৃণমূল নেতাদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে এই টানাপোড়েন! শেষ অবধি সকলকে প্রাপ্য টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হলেও সেই টাকা তৃণমূল নেতারা পকেটে পুড়েছেন। স্বপন মাঝি এবং তাঁর শাগরেদরা একশোরও বেশি শ্রমিকের হকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা না মেটালে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন গ্রামবাসীরা।