বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পাশাপাশি জেলের ঘানি টেনেই দিন কাটছে তৃণমূল নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর প্রক্রিয়া নিয়ে এবার কঠোর অবস্থানে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আগেই রাজ্যের কাছে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন চেয়েছিল সিবিআই (CBI)। গত মাসে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কতদিন সময় লাগবে তা জানতে চেয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের (State Chief Secretary) কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত। আর এবার শেষবারের জন্য মুখ্যসচিবকে সময় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যসচিবের কাছে তিন বার জবাব তলব করে হাইকোর্ট। তবে কোনো বারই সুরাহা হয়নি। এবার শেষ এবং চতুর্থবারের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানানোর সুযোগ দিল আদালত। আগামী ২ রা মে – র মধ্যে মুখ্য সচিবকে নিজের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ।
মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে শেষবারের জন্য ডেডলাইন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি বাগচী বলেন, যদি এবারও মুখ্য সচিব নিজের অবস্থান না জানান তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া মসৃণ ভাবে চলছে কিনা সেটা দেখা আদালতের কাজ। যদি দেখা যায় যে এক্ষেত্রে কোন বাধা আসছে তাহলে সেটা দূর করার কাজ আদালতকেই করতে হবে। যদি মুখ্যসচিব বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি না দেন তাহলে বাধ্য হয়ে আদালতকেই সেই কাজ করতে হবে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে হবে বলেও পর্যবেক্ষণে জানায় বিচারপতি বাগচীর একক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে রয়েছে মাত্র ৩৬,০০০! কত টাকার মালকিন শতাব্দী? তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ অবাক করবে!
এর আগে এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি বাগচী পর্যবেক্ষণে জানান, গত দেড় বছর ধরে মুখ্যসচিব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। কী কারণে বিলম্ব, সরকারি আধিকারিকদের বিচারের অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান কী, এসব জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বিপি গোপালিকাকে রিপোর্ট সাবমিট করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।