বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকায় এক আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে গণধর্ষণের (Rape) অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার বিবরণ সামনে আসতেই চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক দায়িত্ব নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কী অভিযোগ নির্যাতিতার?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কাজ করেন। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় অভিযুক্তরা তাঁকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁর মুখ চেপে ধরে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিন দিন আটকে রেখে অত্যাচারের (Rape) অভিযোগ
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী জানা যায়, একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাঁকে তিন দিন ধরে আটকে রাখা হয়। সেই সময়ে তাঁর ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার (Rape)। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। বুধবার অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির একটি ভাঙা জানালা দিয়ে কোনওক্রমে বেরিয়ে পালাতে সক্ষম হন ওই মহিলা। সেখান থেকে দৌড়ে তিনি নিরাপদ স্থানে পৌঁছান বলে জানান।
পরে প্রতিবেশীদের কাছে গোটা ঘটনা খুলে বলেন নির্যাতিতা। প্রতিবেশীদের সাহায্যেই তিনি বহরমপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং বুধবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। এই ঘটনায় (Rape) এখনও পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে খবর সূত্রের।












