বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তিনি। সেই কাঞ্চন মল্লিককেই (Kanchan Mullick) কিনা প্রচার গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের জোড়াফুল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। উত্তরপাড়ার বিধায়ককে দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ ‘রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তাঁকে আসতে বারণ করলেন শ্রীরামপুরের (Serampore) বিদায়ী সাংসদ।
বৃহস্পতিবার কোন্নগরের নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন কল্যাণ। কোন্নগর স্টেশন রোডে দলীয় পার্টি অফিসের সামনে থেকে প্রচার শুরু হয়। সঙ্গে ছিলেন কাঞ্চন। হুডখোলা গাড়িতে একসঙ্গে ছিলেন দু’জনে। কিন্তু আচমকাই উত্তরপাড়ার (Uttarpara) বিধায়ককে প্রচার গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ। গাড়ি থেকে নেমে দলীয় কর্মীর বাইকে করে এলাকা থেকে বেরিয়ে যান কাঞ্চন।
এই বিষয়ে পরে কল্যাণকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘উনি মনক্ষুণ্ণ হয়েছে কিনা জানি না। তবে ওনাকে নিয়ে আমি আগেও প্রচার করেছি। তবে উনি আমার সঙ্গে প্রচারে বেরোচ্ছেন দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিয়্যাক্ট করছে। ওনাকে আমি আগেই গ্রামে আসতে বারণ করেছিলাম। উনি তো একজন বিধায়ক, নিজেও প্রচার করতে পারে। সেটা করছে না’।
আরও পড়ুনঃ মমতা সরকারের দেওয়া জমিতে ‘অরুচি’! টানা ২ বছর ধরে স্কুলেই বাস ৩৫ পরিবারের
এখানেই না থেমে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী বলেন, ‘আমি তো ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমায় মানুষের মন বুঝতে হবে। আমি কোনও ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই, সমষ্টিগত মানুষের জন্য। কোনও ব্যক্তি বিশেষের আনন্দ কিংবা সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষের মনে কষ্ট দিতে পারব না’।
এই বিষয়ে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে বারংবার যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি বলে খবর। এরপর তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কাঞ্চন কলকাতা ফিরে গিয়েছেন।
কয়েক মাস আগেই তৃতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক। দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজের গলায় মালা দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই উত্তরপাড়ার বিধানসভা এলাকার মানুষের মধ্যে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বলে খবর। বিশেষত গ্রামের মহিলারা খুব ‘রিয়্যাক্ট’ করছেন বলে জানান কল্যাণ। এই বিষয়টি গোচরে আসতেই এবার কাঞ্চনকে নিয়ে প্রচারে বেরোতে চান বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।