বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর দুদিন পর ২০২৬। আর নতুন বছর সরকারি কর্মীদের জন্য বয়ে নিয়ে আসছে সুখবর। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য কোনও সুখবর না এলেও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের (Government Employees) রীতিমতো লটারি লাগতে চলছে। কারণ আসছে অষ্টম পে কমিশন (8th Pay Commission)। ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে দেশব্যাপী কার্যকর হতে চলছে অষ্টম বেতন কমিশন!
সরকারি কর্মীদের ভাগ্য খুলবে শীঘ্রই | Government Employees
অষ্টম পে কমিশনের অধীনে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের বেতন এবং পেনশনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হতে পারে। ইতিমধ্যেই নতুন বেতন কমিশন গঠন করেছে কেন্দ্র (Central Government)। নয়া পে কমিশন এবং সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বর্তমানে জল্পনা তুঙ্গে। পূর্ববর্তী বেতন কমিশনের তুলনায়, নয়া পে কমিশনের বেতন বৃদ্ধি সরকারি কর্মীদের পকেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বর সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা-অনুমোদিত, অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি ১ জানুয়ারি, ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে বলে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও বাস্তবে, কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে বলেই ধারণা। অষ্টম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে সরকারি কর্মীদের।
সরকারি কর্মীদের অষ্টম পে কমিশন সংক্রান্ত আপডেট | Government Employees
একাধিক রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫১,৪৮০ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সপ্তম বেতন কমিশনে তা বেড়েছিল প্রায় ২৩ থেকে ২৫ শতাংশ। অষ্টম বেতন কমিশনের প্রাথমিক অনুমান অনুসারে বেতন ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির ধারণা করা হচ্ছে। যদি তাই হয়ে তাহলেও ন্যূনতম মূল বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৩০,০০০- ৩২,০০০ টাকা হবে।
বর্তমানে প্রায় ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, এবং প্রায় ৬৫ লক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি পেনশনভোগী অষ্টম পে কমিশনের অপেক্ষায় রয়েছেন। যেখানে নতুন ফর্মুলায় ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে রিভাইজড স্যালারি হবে বেসিক পে × ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নয়া কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৪৪ থেকে ৩.০০-এর মধ্যে থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও সবটাই এখনও অনুমান।
প্রসঙ্গত, এর আগে সপ্তম বেতন কমিশনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ছিল ২.৫৭। অষ্টম বেতন কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করতে কিছুটা সময় লাগবে এখনও। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে অষ্টম বেতন কমিশনকে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৮ মাসের সময়সীমা দিয়েছে অর্থমন্ত্রক।

এই সময়সীমা অনুযায়ী, কমিশনের সুপারিশগুলো প্রস্তুত হতে এবং সরকারের কাছে জমা পড়তে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে। ২০২৭ সালের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ, নয়া পে কমিশনের সুবিধা পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের। পরবর্তী আপডেট পেলে প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।












