বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের একবার নিজের ক্রমবর্ধমান সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল চিন। সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ তথা পেন্টাগনের একটি রিপোর্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে, চিন কেবল তার সামরিক বাহিনীকে দ্রুত আধুনিকীকরণ করছে না, বরং, তারা ভারতের (India) আশেপাশের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের সম্ভাবনাও খুঁজছে। আর এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। নিউজউইক কর্তৃক প্রকাশিত মানচিত্রে যেসব দেশের নাম এসেছে, তার মধ্যে ভারতের চার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা রয়েছে। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে যে চিন ভারতকে কী সত্যিই চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার কৌশল নিয়ে কাজ করছে?
ভারতকে (India) ঘিরে ফেলতে চায় চিন?
চিন নতুন ঘাঁটির পরিকল্পনা করছে; দাবি পেন্টাগনের: জানিয়ে রাখি যে, সদ্য প্রকাশিত হওয়া পেন্টাগনের রিপোর্ট ‘Military and Security Developments Involving the Peoples Republic of China 2025’ অনুসারে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) সক্রিয়ভাবে নতুন বিদেশি সামরিক ঘাঁটির বিবেচনা এবং পরিকল্পনা করছে। এই ঘাঁটিগুলির উদ্দেশ্য হল চিনের নৌ ও বিমান বাহিনীকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করতে সহায়তা করা এবং স্থল নিরাপত্তা বাহিনীকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করা।

ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে উদ্বেগ কেন বেড়েছে: রিপোর্টে উল্লিখিত দেশগুলির মধ্যে, ভারতের ৪ টি প্রতিবেশী দেশে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চিনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং CPEC এই ২ দেশের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করেছে। এদিকে, বাংলাদেশ ভারতের পূর্ব দিকে অবস্থিত। সেখানে চিনের সামরিক উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। চিন ইতিমধ্যেই মায়ানমারে পরিকাঠামো এবং বন্দর প্রকল্পে সক্রিয়। অপরদিকে, ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কা ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে চিনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ইতিমধ্যেই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪ মাসেই ৬০০ শতাংশের বৃদ্ধি! এই কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থার স্টকে রকেটের গতি
চিনের সামরিক ঘাঁটি বর্তমানে কোথায় অবস্থিত: জানিয়ে রাখি যে, চিনের বর্তমানে তার সীমান্তের বাইরে ২ টি সরকারী সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। প্রথমটি হল আফ্রিকার জিবুতিতে থাকা সাপোর্ট বেস। এটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ঘাঁটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা নৌ অভিযান এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা মিশনে সহায়তা করে। অন্যটি কম্বোডিয়ায় সম্প্রতি চালু হওয়া যৌথ লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার। যেটি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সামরিক উপস্থিতিকে শক্তিশালী করে।
আরও পড়ুন: হয়ে যান সতর্ক! ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার সময়ে করবেন না এই ভুলগুলি, নাহলেই পড়বেন দুর্ভোগে
চিনের প্রতিক্রিয়া: এদিকে, পেন্টাগনের রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায়, চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে যে, তারা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে কাজ করে এবং তাদের সামরিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক সার্বজনিক নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা বজায় রাখার জন্য সংগঠিত হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী বাস্তবে, বিষয়টি এর চেয়ে অনেক বেশি জটিল।












