বাংলা হান্ট ডেস্ক: গাড়ি হোক কিংবা মোটরবাইক রাস্তায় যানবাহণ চালানোর ক্ষেত্রে সবসময় হতে হয় সতর্ক। নাহলেই থাকে বড় বিপদের সম্ভাবনা। পাশাপাশি, মদ্যপান করে কখনোই গাড়ি চালানো উচিত নয়। এমতাবস্থায়, কেউ যদি মদ্যপান করে গাড়ি চালাতে গিয়ে ট্রাফিক পুলিশের (Traffic Police) হাতে ধরা পড়েন সেক্ষেত্রে জারি করা হয় চালান (Challan)। পাশাপাশি, ট্রাফিক পুলিশ ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের (Drink And Drive) জন্য ব্রিথ অ্যানালাইজার টেস্ট করে। যেখানে চালককে একটি ডিভাইসে ফুঁ দিতে হয়। যার মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে ওই চালক মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না।
তবে, এই প্রক্রিয়ার মধ্যে কখনও কখনও এমন ঘটনা ঘটে যেগুলি ভুল বোঝাবুঝির উদ্রেক করে। মূলত, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মদ্যপান না করেও কয়েকজনের ব্রিথ অ্যানালাইজার টেস্ট পজিটিভ দেখায়। তবে, এই বিষয়টি যে মেশিনের ত্রুটির কারণে এমনটা কিন্তু নয়। বরং, এর পেছনে রয়েছে বড় এক কারণ। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের জন্য জরিমানার পরিমাণ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য প্রথমবার দোষী সাব্যস্ত হলে সেক্ষেত্রে ১০,০০০ টাকার জরিমানা এবং ৬ মাসের জেল হতে পারে। তবে, দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে ১৫,০০০ টাকার জরিমানা সহ হতে পারে ২ বছরের জেল। মূলত, অপরাধের গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে বারংবার একই অপরাধকারীদের তাঁদের যানবাহণ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: Jio-Airtel পাবে না পাত্তা! BSNL আনল ১৬০ দিনের প্ল্যান, আনলিমিটেড কলিংয়ের সাথে মিলবে 320 GB ডেটা
মদ্যপান ছাড়া কিভাবে টেস্টে পজেটিভ রেজাল্ট আসে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এমন অনেকেই থাকেন যাঁরা মদ্যপান করেন না। কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে তাঁদের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। যেটি মূলত ঘটে অটো-ব্রিউয়ারি সিন্ড্রোমের কারণে। আসলে, এই সিনড্রোমের কারণে, একজন ব্যক্তি মদ্যপান না করেই মদ্যপানকারীদের মতো নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে কার্বোহাইড্রেট অ্যালকোহল (ইথানল) নির্গত হয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে তাঁর শরীরে নেশার প্রভাব বেশি দেখা যেতে পারে। এই কারণে, ওই সিন্ড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের আগে ঝটকা বাংলাদেশে! অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব আল হাসান
ট্রাফিক চালান এড়াতে এটি করুন: আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি অটো-ব্রুয়ারি সিনড্রোমে ভুগছেন, তাহলে তাঁর উচিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখা। সেক্ষেত্রে, যদি পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশ তাঁকে ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের মামলায় ধরে ফেলে তখন তিনি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখাতে পারেন। এর মাধ্যমে ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভের চালান থেকে তিনি রেহাই পাবেন।