বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি এক হাড়হিম করা খবর সামনে এসেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে। লাভ জিহাদের (Love Zihad) পরিণতি যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট। এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রথমে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং পরে ট্রেনের সামনে ফেলে দিয়ে খুন করার খবর সামনে এসেছে। সূত্রের খবর, ট্রেনে কাটা পড়ে মেয়েটির শরীর দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।
ঘটনাস্থলের বেশকিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে মেয়েটির কোমর থেকে পা আলাদা হয়ে গেছে এবং উর্ধাঙ্গ আলাদা পড়ে রয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, খুন করার আগে তাকে মসজিদে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যেই মহম্মদ ফরিয়াদ বলে একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, নাবালিকার মা ঊষা পুলিশকে জানিয়েছেন মহম্মদ ফরিয়াদ বিগত বহুদিন ধরেই তার মেয়েকে উত্যক্ত করত। জানা যাচ্ছে মৃতার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। এখনও স্কুলের গণ্ডিও পার করেনি সে। গত ৮মে মেয়ের বিদ্যালয় থেকে একটি ফোন আসে। ফোন করে বলা হয় যে, সে একটি বিষয়ে অম নম্বর পেয়েছে এবং এর জন্য একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেই কারণেই স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। তবে স্কুলে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি।
আরও পড়ুন:৮ ঘন্টার ধুন্ধুমার লড়াই, গুলিতে ঝাঁঝরা ১২ মাওবাদী! ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে বিরাট সাফল্য সেনার
মাঝ রাস্তা থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যায় ফরিয়াদ। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, প্রথমে তাকে মসজিদে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তারপর নৃশংসভাবে ধর্ষণও করা হয়। এবং তারপর চলন্ত ট্রেনের সামনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। খুবই সম্ভবত প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাতেই নাবালিকাকে খুন করে ফরিয়াদ।
আরও পড়ুন:‘এটাই তো আমার শেষ…’, ভাইরাল রোহিত-অভিষেকের কথোপকথন! কোন জল্পনা উস্কে দিলেন অধিনায়ক?
রিপোর্ট বলছে, নাবালিকাকে রেল লাইনের দিকে টেনে যাওয়ার ঘটনাটি তার ভাই দূর থেকে দেখতে পায়। সে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পাওয়া মাত্রই আশেপাশের লোকজন ছোটে রেললাইনের দিকে। তবে তারা মেয়েটিকে বাঁচাতো তার আগেই ফরিয়াদ তাকে ছুঁড়ে ফেলে চলন্ত ট্রেনের সামনে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছিল সে। তবে গ্রামবাসীরা তাকে ধরে ফেলে।