বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটু বৃষ্টি হলেই কলকাতা (Kolkata) শহরে জল জমার সমস্যা দেখা দেয়। জল নিকাশি নিয়ে একাধিকবার সমস্যার মুখে পড়েছে তিলোত্তমা। যদি ১ ঘণ্টায় কলকাতা ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তাহলে সেই জল বের করতে করতেই সময় লেগে যায় প্রায় ৭ ঘণ্টা। তবে এবার তিলোত্তলার জল নিকাশি সমস্যার সমাধান করতে বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।
কেএমসির নিকাশি বিভাগের দাবি, একদা শহর কলকাতা নিকাশি পথ দিয়ে বৃষ্টির জল নামার ক্ষমতা ছিল ১ ঘণ্টায় ৬.৮-৬.১০ মিলিমিটার। তবে এবার যাতে আরও দ্রুত জল বেরোতে পারে সেই কারণে ম্যানহোল থেকে পলি তোলা হচ্ছে। এর ফলে জল নামার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩০ মিলিমিটারে। তাই জন্য বৃষ্টিবাদলের মরসুমে (Monsoon) যদি কলকাতায় জল জমেও যায়, তাহলে তা অল্প সময়ের মধ্যেই নেমে যাবে।
এদিকে কেএমসির (KMC) নিকাশি বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নদীর জোয়ার ভাটার সঙ্গে শহরে জল জমার একটা সম্পর্ক রয়েছে। শহর থেকে জল বেরিয়ে হুগলি নদীতে পড়ছে। নানান লকগেটের মধ্যে এই জল নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে জোয়ার চললে লকগেট বন্ধ রাখা হয়। জোয়ার হয়ে গেলে তা আবার খুলে দেওয়া হয়। বৃষ্টির জল শহরের নিকাশি ব্যবস্থার (Drainage System) মাধ্যমে নদীতে চলে যায়। তাই জমা জলের সমস্যা দেখা যায় না।
আরও পড়ুনঃ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মিলবে না মে মাসের বেতন! ভোটের আবহে মাথায় হাত সরকারি শিক্ষকদের
পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের এই বিষয়ে কী মত? এই মুহূর্তে কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থা আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। জল জমার যে সমস্যা আগে দেখা দিত, সেটার সম্ভাবনাও অনেকটা কমেছে। তাই শহরবাসীকে আর বর্ষাকালে কষ্ট করতে হয় না। বর্ষার দিনে যাতে শহর কলকাতায় জল জমলেও তা দ্রুত বেরিয়ে যায় তাই পুরসভার নিকাশি বিভাগের তরফ থেকে ম্যানহোল থেকে পলি তোলার কাজ করা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে।
পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, জল নামার বিষয়টি নিকাশি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। বিগত কয়েক বছর ধরে শহর কলকাতার নানান ম্যানহোল থেকে পলি তোলার কাজ হচ্ছে। তাই বর্তমানে সেখানে ১ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার জমা জল নামতে পারে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে জল নামতে সময় একটু বেশি লাগবে।
তবে পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের অনুমান, এবার যেহেতু প্রচণ্ড গরম পড়েছে, তাই বৃষ্টিও বেশি হবে। সেই কারণে ম্যানহোলের দ্বারা যাতে চটজলদি জল নামানো যায়, সেই চেষ্টা করছে কেএমসি। ধারাবাহিকভাবে ম্যানহোলের থেকে পলি সরানোর কাজ চলছে। কারণ ম্যানহোল যত বেশি পরিষ্কার থাকবে, তত তাড়াতাড়ি জল নামতে পারবে। তিলোত্তলার প্রায় ৭৫% এলাকায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে খবর।