বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাতভর চলেছে রেমালের তাণ্ডব। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ল্যান্ডফল শুরু হয় রেমালের। রাত ১২টা নাগাদ রেমালের ল্যান্ডফল শেষ হয়েছে। রেমালের প্রভাবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal Weather) জেলার পর জেলা। দুর্যোগ কলকাতাতেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) জানিয়েছে আজও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি চলবে। বহু জেলায় জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা।
আবহাওয়া দপ্তরের আপডেট অনুযায়ী, আজ দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এদিকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম এই জেলা গুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই ৭ জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে জারি থাকছে হলুদ সতর্কতা।
রেমালের প্রভাবে আজ সোমবার জেলায় জেলায় ঝোড়ো হওয়ার দাপট থাকবে। এদিন সব জেলায় উপর দিয়ে ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া সহ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে থেকেই কলকাতা সহ জেলা গুলিতে ঝোড়ো হওয়ার সাথে বৃষ্টি চলছিল। ল্যান্ডফলের জেরে কলকাতায় ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে বইল ঝোড়ো হাওয়া।
রেমালের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শহর থেকে জেলায় জেলায়। খাস কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। আজ বাংলার অধিকাংশ জেলার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জারি কমলা সতর্কতা। বুধবার পর্যন্ত বাংলার জেলা গুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: পার্থ, জ্যোতিপ্ৰিয়দের মতোই দশা! এই প্রথম শাহজাহানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের পথে ED
কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় এক বা দুই জায়গায় অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ির কিছু অংশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, উত্তর ও ও দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বা দুই জায়গায় ভারী অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।