বাংলা হান্ট ডেস্ক: সোনার দামে (Gold Price) উত্থান-পতনের রেশ অব্যাহত রয়েছে। কয়েকদিন আগেই সোনার দামে পতন পরিলক্ষিত হলেও ফের ঘটলো দাম বৃদ্ধি। অল ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশন অনুসারে, গহনা বিক্রেতাদের নতুন কেনার কারণে বুধবার রাজধানীতে সোনার দাম (Gold Price) প্রতি ১০ গ্রামে ৪০০ টাকা বেড়ে ৭৫,০৫০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে, রুপোর দাম প্রতি কেজিতে ৯৪,৪০০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।
ফের বৃদ্ধি পেল সোনার দাম (Gold Price):
সোনা ও রুপোর সর্বশেষ দাম: গত সেশনে, সোনার দাম (Gold Price) প্রতি ১০ গ্রামে ৭৪,৬৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। তবে রুপোর দামে কোনও পরিবর্তন নেই। অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে বুলিয়ন বাজারে, সোনা পূর্বের বন্ধের তুলনায় ৪০০ টাকা বেড়ে প্রতি ১০ গ্রামে ৭৫,০৫০ টাকায় লেনদেন করছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সোনার দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বব্যাপী বাজারের পরিস্থিতি: আন্তর্জাতিক বাজারে, স্পট গোল্ড প্রতি আউন্সে ১২.৬০ ডলার বেড়ে ২,৩৮০.৫০ ডলারে লেনদেন করছে। এই প্রসঙ্গে এলকেপি সিকিউরিটিজের কমোডিটি অ্যান্ড কারেন্সির ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা রিসার্চ অ্যানালিস্ট যতীন ত্রিবেদী জানিয়েছেন, সোনার দাম (Gold Price) ইতিবাচকভাবে লেনদেন করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হওয়া দুর্বল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের প্রত্যাশায় কেনাকাটা বেড়েছে। যার ফলে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ তার সেপ্টেম্বরের বৈঠকে হার কমাতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী রুপোর দাম প্রতি আউন্সে ৩১.২৫ ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: লাগু হতে চলেছে “ওয়ান ইন্ডিয়া ওয়ান টিকিট”, পাল্টে যাবে রেলযাত্রীদের ভাগ্য
এই প্রসঙ্গে শেয়ারখান বিএনপি পরিবাসের সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফান্ডামেন্টাল কারেন্সি অ্যান্ড কমোডিটিজ প্রবীণ সিং জানিয়েছেন, “ফেড চেয়ার পাওয়েল মার্কিন সেনেট ব্যাঙ্কিং কমিটির সামনে তাঁর সাক্ষ্যদানে মার্কিন অর্থনীতি এবং ফেডের আর্থিক নীতির ওপর একটি বড় ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করার পরে মঙ্গলবার স্পট গোল্ডের দাম (Gold Price) প্রায় ০.২০ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ২,৩৬৩ ডলারে বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌরভের বাড়ির সামনে ঘুরঘুর! ধরা পড়তেই বেরিয়ে এল আসল সত্যি, পুলিশেরও চোখ উঠল কপালে
তাঁর সাক্ষ্যে, ফেড চেয়ার পাওয়েল বলেন, মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) প্রবণতা উৎসাহজনক। তবে, হার কমানোর বিষয়ে আস্থা অর্জনের জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আরও তথ্যের প্রয়োজন হবে। তিনি সতর্ক করেছিলেন, যে সুদের হার খুব কম বা খুব দেরিতে কমানো অর্থনীতি এবং শ্রম বাজারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। কারণ মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন অর্থনীতির একমাত্র ঝুঁকি নয়।