কেন্দ্রের এই প্রকল্পে প্রতি মাসে মিলবে ৩০০০ টাকা, লক্ষীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিতে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে প্রচলিত সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল লক্ষীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। আর শুধু রাজ্যই কেন, বিশ্বের দরবারেও সমাদৃত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প। শুরু থেকেএই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হত ১০০০ টাকা। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়েছে রাজ্য।

আসছে কেন্দ্রের নয়া প্রকল্প (Government Scheme)

বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় মাসে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন সাধারণ কাস্টের মহিলারা। তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ১২০০ টাকা। বাংলার মা-বোনেদের কাছে এই লক্ষীর ভাণ্ডার হল এক আশীর্বাদ। যত দিন যাচ্ছে আরও জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই প্রকল্পের।

   

তবে এবার লক্ষীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিতে নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে কেন্দ্র সরকার তরফে। কেন্দ্র সরকারের অধীনে থাকা এই প্রকল্পের নাম কিষান মানধন যোজনা (New Scheme Of Central Govt)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের মাসে মাসে ৩০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। কোনো কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হলে তিনি এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারেন।

তবে জানিয়ে রাখি, এটি একটি সঞ্চয় প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদনকারীকে একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট সাবস্ক্রিপশন করতে হবে। তার সঞ্চিত অর্থ কেন্দ্র সরকার একটি নির্দিষ্ট তহবলের সঞ্চয় করে রাখবে। এরপর ওই কৃষক ৬০ বছর পেরোলে কেন্দ্র সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। মাসে মাসে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

Central Government scheme

আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় বিরাট মোড়, এবার ED-র হাতে এল ‘সেই’ চিঠি, কার নাম ফাঁস হল?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে এই প্রকল্পে ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৫৮ জন কৃষক আবেদন করেছেন। এই প্রকল্পের (Government Scheme) সুবিধাভোগী কোনো কৃষক যদি মারা যান তাহলে সেক্ষেত্রে তার স্ত্রীও প্ৰতি মাসে নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ টাকা পাবেন। বিস্তারিত জানতে কিষান মানধন যোজনা সম্পর্কিত অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি পড়ুন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর