রক্তের গ্রীষ্মকালীন সঙ্কট মেটাতে বড় পদক্ষেপ! মুমূর্ষু রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে সম্পন্ন হল মহতী রক্তদান শিবির

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বলা হয় যে রক্তদান (Blood Donation) হল সবথেকে মহৎ কাজ। কারণ, রক্তদানের মাধ্যমেই প্রত্যক্ষভাবে বাঁচানো যায় মুমূর্ষু রোগীকে। তাই, রক্তদানের মতো বিষয়টি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে, রক্তের চাহিদা সারা বছরই বিপুলভাবে পরিলক্ষিত হলেও গ্রীষ্মকালে রক্তের তীব্র সঙ্কট দেখা যায়।

সম্পন্ন হল মহতী রক্তদান (Blood Donation) শিবির:

Blood donation camps were held to meet the summer blood crisis.

এমতাবস্থায়, এই সঙ্কটকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয় রক্তদান (Blood Donation) শিবিরের। যেখানে রক্তদানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে রক্তদানের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালীন রক্তের সঙ্কটকে প্রতিহত করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। এমনিতেই সাম্প্রতিককালে ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে রক্তের বিপুল চাহিদা পরিলক্ষিত হয়। যে কারণে রক্তের জোগান পেতে হিমশিম খেতে হয় রোগীর আত্মীয়দের।

Blood donation camps were held to meet the summer blood crisis.

সেই সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধানের জন্য এবার কলকাতার ৪ নং ওয়ার্ডের পাইকপাড়া মিত্রবাগান অঞ্চলে জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি বিকাশ আহিরের উদ্যোগে আয়োজিত হল রক্তদান (Blood Donation) শিবির। এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিশিষ্টজন। পাশাপাশি, রক্তদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সফল হয় সমগ্র আয়োজনটি।

আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলে বিপুল শূন্যপদে হচ্ছে নিয়োগ, জারি বিজ্ঞপ্তি, কিভাবে করবেন আবেদন?

রক্তদানের (Blood Donation) এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোরো চেয়ারম্যান তরুণ সাহা, নব নির্বাচিত বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে, রাজ্যসভার প্রাক্তন সংসদ ডঃ শান্তনু সেন, শ্রেয়া পান্ডে এবং উত্তর কলকাতা জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কৃষ্ণপ্রতাপ সিং।

আরও পড়ুন: এবার ওয়েব সিরিজ তৈরির উদ্যোগ RBI-র! হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? সামনে এল কারণ

এছাড়াও, রক্তদানের (Blood Donation) এই “উৎসবে” উপস্থিত ছিলেন পৌরমাতা দেবীকা চক্রবর্তী, গিনিস বিশ্বরেকর্ড খ্যাত শুভদীপ চ্যাটার্জী, ছাত্র নেতা বিশ্বজিৎ দে, স্থানীয় নেতা মহেন্দ্র পাকড়ে, রবীন ঘোষ, প্রবীর কুন্ডু, সিদ্ধার্থ রায়, অপূর্ব দে, সৃজন বোস সহ অন্যান্যরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর