গায়ে হাত গিয়ে পোজ দিতেই ওরির নাকে এক টান, কেন এমন করলেন অনন্ত?

মিটে গিয়েছে অনন্ত-রাধিকার বর্ণাঢ্য বিবাহ অনুষ্ঠান। প্রাক বিবাহ থেকে শুরু করে রিসেপশন পর্যন্ত, যেন চাঁদের হাট আম্বানি পরিবারে। টলিউড থেকে হলিউড, একাধিক নামী তারকারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিয়েতে। উপস্থিত ছিলেন ওরি-ও (Orry Awatramanis)। ১২ জুলাই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক তাঁদের। অনন্ত রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল বেশ জাঁকজমক ভাবে। আর হবে না-ই বা কেন? এশিয়ার সর্বাধিক ধনী পরিবার বলে কথা। এইরকম জমকালো আয়োজনই তো কাম্য।

এদিন রাজকীয় ভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন আম্বানি পরিবার বিয়ের আগে একাধিকবার প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান করতেও দেখা গিয়েছে তাঁদের। তাঁদের রিসেপশন পার্টিতেও উপস্থিত ছিলেন একাধিক বলি তারকারা। তবে শুধু বলি তারকারা নন, উপস্থিত ছিলেন একাধিক ভারতীয় খেলোয়াড়রাও। শাহরুখ টু ধোনি, প্রত্যেককেই দেখা গিয়েছিল অনন্ত-রাধিকার বিবাহ অনুষ্ঠানগুলিতে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ওরি-ও (Orry Awatramanis)। এদিনের একটি ঘটনার ভিডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Orry Awatramanis

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ওরির (Orry Awatramanis) নাক টেনে ধরছেন অনন্ত

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ওরির নাক টেনে ধরছেন অনন্ত। তবে, জানেন কি কেন এমন করেছিলেন মুকেশপুত্র? জানা গিয়েছে অনন্তের খুব ভালো বন্ধু ওরি। তাই বিয়ের প্রত্যেক অনুষ্ঠানেই দেখা মিলেছিল তাঁর। রিসেপশনেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর সেখানেই মজা করে তাঁর নাক টেনে ধরেছিলেন অনন্ত। ভেলভেটের কোর্ট ও সাদা প্যান্টে দেখা মিলেছিল ওরির। তবে, জাঁকজমক পূর্ণ এই বিয়েবাড়িতে নজর কেড়েছিল ওরির হাতের ঘড়িটি। তবে, জানেন কি ওটি কোনও সাধারণ ঘড়ি নয়, ওই ঘড়ির দামে পৃথিবীর যে কোনও কোণায় মিলবে একটি বিলাসবহুল বাংলো।

ওরির হাতঘড়ির দাম হল ১.৮ কোটি টাকা। তাঁর গোটা ঘড়িটি ছিল রোজ গোল্ডের। আর ঘড়ির ডায়েলটি ছিল হিরের। গোলাপি সোনার সঙ্গে সাদা হীরের কম্বিনেশনে তৈরি করা হয়েছিল ঘড়িটি। তবে, ওই দিনের পর ওরির হতে আর ঘড়িটির দেখা মেলেনি। এখন প্রশ্ন হল, ওরি কি আর ওই ঘড়িটা কখনওই পড়বেন না, না কি এত দামী ঘড়ির একটু যত্ন নিয়ে ব্যবহার করছেন সেটা।

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর