‘১৮ তারিখের মধ্যে..,’ ভরা এজলাসে ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন বিচারপতি সিনহা, বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption Case) অভিযোগে গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে বহুবার আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। আদালতে চলছে একাধিক মামলা। শুক্রবার সেরমই এক মামলায় ফের কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নবাণে বিদ্ধ পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)।

ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ

২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। নিয়োগের জন্য আবেদন জানান উত্তর ২৪ পরগনার চাকরি প্রার্থীরা। ২০১১ সালে লিখিত পরীক্ষাও হয়। তবে পরে তা আবার বাতিল হয়ে যায়। এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয়বারের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়। যার ভিত্তিতে সেই বছরই নভেম্বর মাসে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

অভিযোগ, সেই নিয়োগের মেধাতালিকা থেকে ২০০ জন যোগ্যপ্রার্থীকে বঞ্চিত করে পর্ষদ। মূল মামলার সঙ্গে এই মামলাকে যুক্ত করার জন্য আবেদন জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। কিভাবে যোগ্য হয়েও সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় চাকরিপ্রার্থীদের নাম ওঠেনি সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রমাণ দিতে পর্ষদের নথিও আদালতে পেশ করেন আইনজীবী।

মামলাকারীদের দেওয়া নথিপত্র দেখে চোখ কপালে ওঠে বিচারপতির। পর্ষদের উদ্দেশে প্রশ্ন করে জাস্টিস সিনহা বলেন, ‘ ২০০ জন চাকরিপ্রার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও মেধা তালিকায় জায়গা পেল না। এদিকে অযোগ্যদের মেধা তালিকায় স্থান দিয়ে নিয়োগের প্রস্তাব পর্ষদের?’ কেন এমন করা হল তার উত্তর চান বিচারপতি।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: তৃণমূলে জোর ঝটকা! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার, তোলপাড়

বিচারপতি আরও বলেন, ‘আপনাদের (পর্ষদ) দেওয়া তথ্যই বলছে মামলাকারীরা বেশি নম্বর পেয়েও তাদের নাম মেধাতালিকায় জায়গা পায়নি! অথচ তাদের থেকে কম নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। চাকরিও করছে।’ জানা গিয়েছে আদালতের প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি পর্ষদ। এরপরই আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পর্ষদেকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর