বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। সিবিআই তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য (RG Kar Case)। সম্প্রতি ফের একবার তিলোত্তমার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে তলব করে সিবিআই। এই নিয়ে মোট চারবার তলব করা হল তাঁকে। সেই সঙ্গেই হাজিরা দিয়েছেন আরও দু’জন।
আরজি কর কাণ্ডে নজরে ময়নাতদন্তের ঘর (RG Kar Case)?
গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতাল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। চারতলার সেমিনার রুম থেকে পাওয়া যায় তাঁর বডি। পরে জানা যায়, ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। সেদিনই তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করে। সেই কারণেই চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে সিবিআই (CBI) জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে খবর। সেই সঙ্গে ওই মেডিক্যাল বোর্ডের বাকি দুই সদস্য মলি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রীনা দাসকেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
- মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্টদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে
এদিন চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসের পাশাপাশি আরজি করের দু’জন মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্টও সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ময়নাতদন্তের ঘরে লুকিয়ে রয়েছে কোনও রহস্য (RG Kar Case)? পোস্টমর্টেমের প্রক্রিয়ায় কি কোনও ত্রুটি ছিল যা সম্পূর্ণ তদন্তকে বিপথে চালিত করেছে? জানা যাচ্ছে, সেই সম্ভাবনা নাকি একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগেই মালামাল! অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ২৪,০০০! লক্ষ্মীলাভ এই সরকারি কর্মীদের
এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় এক মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্ট বলেন, ‘ময়নাতদন্তের সময় আমি ছিলাম না। আমার টেবিল ওয়ার্ক। আমি পেপার ওয়ার্ক করি’। এদিকে চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস এবং আরজি করের মর্গ অ্যাসিস্ট্যান্টদের তলব করার খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
এদিকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ১৪ আগস্ট ক্রাইম সিন থেকে নাকি একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। বর্তমানে সেই মোবাইল সহ বাজেয়াপ্ত করা অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী যাচাইয়ের জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। আগামী সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি রয়েছে। তার আগে তদন্তপ্রক্রিয়া কোন দিকে বাঁক নেয় সেটাই দেখার।