আদানির মাস্টারপ্ল্যান! নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ, জানলে ঘুরে যাবে মাথা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আদানি গ্রুপের (Adani Group) ৩ টি কোম্পানি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের “ট্রান্সফরমেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার” স্কিমের অংশ হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে আদানি মুন্দ্রা “ক্লাস্টার” গঠন করা হয়েছে। এই ৩ টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আদানি নিউ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ) এবং অম্বুজা সিমেন্ট।

বড় পদক্ষেপ আদানি গ্রুপের (Adani Group):

বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে আদানি গ্রুপ (Adani Group) বলেছে যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (WEF) এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হল এক জায়গায় অবস্থিত সংস্থাগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সামঞ্জস্য করা। এর পেছনে অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলি হল অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন দূর করা।

Now Adani Group took a big step.

কোম্পানির বিবৃতি: এই প্রসঙ্গে APSEZ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং অম্বুজার সিমেন্টের ডিরেক্টর করণ আদানি জানিয়েছেন যে, “WEF উদ্যোগে স্বাক্ষরকারীদের বিশ্বব্যাপী শিল্প সমকক্ষ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, নীতি নির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে সহযোগিতা করার সুযোগ দেবে। জাপানে কার্বন নিঃসরণের মুক্তির দিশা পাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: ফের হবে চার-ছয়ের বন্যা! এবার এই লিগে খেলতে নামবেন সচিন, সামনে এল বড় আপডেট

তিনি আরও বলেন যে, “আদানি মুন্দ্রা ক্লাস্টার একটি সমন্বিত সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হতে চায়। যা ভারতীয় অর্থনীতিতে নির্গমন কমাতে এবং শক্তি আমদানির ওপর দেশের নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।”

আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানি দিচ্ছেন দীপাবলির উপহার! মাত্র ১৩ হাজার টাকায় মিলছে iPhone 16

WEF আনন্দ প্রকাশ করেছে: এদিকে, এই বিষয়ে WEF-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রবার্তো বোকা উৎসাহ প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, “আদানি মুন্দ্রা ক্লাস্টারকে আমাদের ২৩ টি শিল্প ক্লাস্টারের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারতের প্রথম দু’টি ক্লাস্টারের মধ্যে একটি হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।” তিনি বলেন, “গুজরাটের উল্লেখযোগ্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে, এই কমপ্লেক্সটি দক্ষিণ এশিয়ায় সবুজ হাইড্রোজেনের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর