বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রযুক্তির ছাপ সর্বত্রই। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) প্রভাব আজ মানুষকে আরো বেশি স্মার্ট করে তুলছে। ডাক্তারি থেকে শুরু করে বিচারালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম সবেতেই AI এর ছোঁয়া। এমনকি AI ছাড়া মানুষ একটা দিনও পরিকল্পনা করতে পারেন না। আর আজ এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিকিৎসা ক্ষেত্রে দিশা দেখাচ্ছে। AI-এর বিশেষ যন্ত্র হৃদরোগ শরীরে হানা দেবে কিনা সেকথা আগেই জানান দিয়ে দেবে। বিষয়টি শুনে বিশ্বাস না হলেও একথাই সত্যি।
AI জানিয়ে দেবে হৃদরোগের লক্ষণ:
প্রযুক্তির যুগে এই যন্ত্র চিকিৎসা শাস্ত্রে যুগান্তরকারি আবিষ্কার। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে এমন যন্ত্র আবিষ্কার করা হচ্ছে যা হৃদয় দপ্তরের হাল হকিকত আগে ভাগেই বলে দিতে পারবে। সেই সাথে ১০ বছর আগে জানা সম্ভব কোনো ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হবে কি না।
“ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন”-এর প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, এআই পরিচালিত এই যন্ত্র হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে দিতে সক্ষম। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, এই গবেষণা করতে প্রায় সাড়ে তিন লাখ হার্টের রোগীর প্রয়োজন পড়ে। সেই রোগীদের উপর পরীক্ষা করেই আজ গবেষকরা এই দাবি করছেন। বুকে মাঝে মধ্যেই ব্যথা হয়, সিটি স্ক্যান করিয়েছেন এমন রোগীদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে এই যন্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য। আর তাতে গবেষকরা ভালোই ফল পেয়েছেন বলে দাবি করছেন।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই যন্ত্র মানব শরীরে কিভাবে কাজ করবে?
অক্সফোর্ডের গবেষকেরা বলছেন, AI পরিচালিত এই যন্ত্র মূলত ‘স্ক্যান’ করেই বলে দিতে পারবে, কোনো ব্যক্তির আগামী ১০ বছরের মধ্যে হৃদযন্ত্রের অবস্থা কেমন থাকবে। এমনকি সেই ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আছে কি না তাও এই স্ক্যানের মাধ্যমে জানা যাবে। তবে এখনো পর্যন্ত এই যন্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তরেই আটকে। গবেষকরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগীর উপর পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। আগামী দিনে যাতে এই যন্ত্রের মাধ্যমে কাউকে কোন সমস্যায় পড়তে না হয় সেই জন্যই এই পরীক্ষা।
আরও পড়ুন : বছরে একবার হলেও করান এই টেস্ট, এড়ানো যাবে বড় বড় রোগ! শরীরে বাসা বাঁধার আগেই হন সাবধান
এ বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো বর্তমান যুগে হার্ট অ্যাটাক কোন নির্দিষ্ট বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ৮ থেকে ৮০ সকলের শরীরের থাবা বসাচ্ছে এই রোগ। এমনকি আজ এই রোগের কবলে পড়ে বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন। এর এক এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে দেরিতে চিকিৎসা। বুকে চিনচিন ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, মাথা ঘুরে যাওয়া এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দেওয়ার পরও রোগীরা চিকিৎসা করান না। এরফলেই আপনার জীবনে ঘনিয়ে আসে বিরাট বিপদ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষণ গুলিকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে। সেই সাথে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকের বাঁদিকের সবচেয়ে বেশি ব্যথা হয়। আর এমন ব্যথা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ সাবধান হয়ে যান। এতে করে নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারবেন।