বাংলা হান্ট ডেস্ক : মা দুর্গার (Durga Pujo) ঐশ্বরিক উপস্থিতি কে সিঙ্গাপুরবাসী দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং মা দুর্গার আশির্বাদকে আলিঙ্গন করে নিতে আগ্রহী মুষ্টিমেয় কয়েকজন বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তের আয়োজনে ২০১৩ সালে শুরু হয় বি এস এস এস দুর্গা পূজা (Durga Pujo)। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, ছোট্ট সেই আয়োজক কমিটি ধীরে ধীরে ডানা ছড়িয়ে আজ সিঙ্গাপুর এর পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুর্গা পূজা আয়োজনকারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
সিঙ্গাপুরের দুর্গা পূজা (Durga Pujo)
শুরু থেকেই এক অসাধারণ পূজোর (Durga Pujo) আয়োজন ও সমাজের প্রতি এই আয়োজক বৃন্দের অবদান এদেশের সকলের নজরে পড়েছে | আয়োজনের গভীরতা এবং সততায় অভিভূত হয়ে সময়ের সাথে সাথে কলকাতার বহু অনুরাগী এই আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। পুজোর বাজার থেকে শুরু করে প্রসাদ তৈরী, মন্ডপ ও পূজো আয়োজনের সাজ সজ্জা এমনকি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অব্দি সবকিছুই দুর্গা পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা করা হয়।
বি এস এস এস হচ্ছে শুদ্ধতম ভক্তদের এমন একটি কমিটি যারা পুজোর জন্য সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রম ও সমাজের ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিদের অনুদানের উপর নিখুঁতভাবে কাজ করে। নিজেদের এই মহান কাজের জন্যে এই কমিটির কোনো সদস্য আলাদা ভাবে কোনও বিশেষ সম্মান এর আশা করেন না বরং প্রাণ ঢালা ভালবাসার সাথে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি বর্গকে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন : বিপুল মানুষের সমাগম! সুদূর ওয়াশিংটনে জমে উঠল পুজো, পঞ্জিকা মেনেই সম্পন্ন হল মায়ের আরাধনা
পূজা কমিটি উৎসবের ৪ দিন প্রায় ২০০০ লোকের জন্য প্রসাদ ও ভোগ প্রস্তুত করে। তারা কালী পূজা (দীপাবলি), সরস্বতী পূজা সহ বিভিন্ন পূজা এবং বাংলা নববর্ষ উৎসব ও আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন পুজোর আয়োজন হয়।
বিজয়া দশমীর শেষ তিথিতে সুন্দর ও রাজকীয় সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করবার জন্যে সকলের প্রতি রইলো বিশেষ আমন্ত্রণ। এই সিঁদুরখেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত। অনুগ্রহ করে উদযাপনের সময় আমাদের পূজো মন্ডপ পরিদর্শন করুন এবং আসুন আমরা মা দুর্গার পূজাকে একটি পরিবার হিসাবে একসাথে উদযাপন করি।