লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার আরেক প্রকল্প নিয়ে সুখবর দিল রাজ্য সরকার, কালই শুরু চূড়ান্ত প্রক্রিয়া

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রমরমিয়ে চলছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন বাংলার মহিলারা। এরই মাঝে ফের আরেক প্রকল্প নিয়ে বড় সুখবর। এবার বার্ধক্য ভাতা (Old Age Pension) নিয়ে রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকদের সুখবর দিল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। সূত্রের খবর, পুজোর ছুটির পর অফিস খুললেই নতুন উপভোক্তাদের বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার পদক্ষেপ করা হবে। প্রায় দেড় লক্ষ নতুন উপভোক্তাকে বার্ধক্য ভাতায় যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল এই বার্ধক্য ভাতা (Old Age Pension Scheme)। এই প্রকল্পের আওতায় ৬০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে রাজ্যের মানুষকে মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্য সরকারের (Government Of West Bengal) এই ভাতার আওতায় রয়েছেন বাংলার ২০ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। তবে পুজোর পরই সুবিধাভোগীদের সংখ্যা আরও দেড় লক্ষ বাড়বে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নতুন করে এই ভাতা কারা পাবেন, সেই বিষয় চূড়ান্ত করতে প্রয়োজনীয় সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

রাজ্যের ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সী বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের জন্য কেন্দ্রও কিছু অর্থ সাহায্য প্রদান করে থাকে। কেন্দ্রের তরফে ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। বাকিটা দেয় রাজ্য। তবে শুধুমাত্র ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কেন্দ্র দেয় ৫০০ টাকা করে। বাকিটা ভরতে হয় রাজ্যকে। এবার সেই প্রকল্পেই বাড়ছে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা। জানা গিয়েছে কেন্দ্রের প্রধান করা অর্থও ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Mamata Banerjee Government of West Bengal

আরও পড়ুন: এই দু’জনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা! আরজি করে নির্যাতিতাকে পরিকল্পিত খুন? সব তথ্য পেয়ে গেল CBI

তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের কোষাগাড় থেকে মোট ১৫০ কোটি টাকা বার্ধক্য ভাতার জন্য জন্য খরচ করা হয়ে থাকে। এবার সেই প্রকল্পে জুড়ছে আরও ১ লক্ষ ৫০ হাজার বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের নাম। পুজোর ছুটির পর দ্রুত সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে যাতে শীঘ্রই সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের টাকা পৌঁছে যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্য সরকার।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর