যেতে পারে সরকারি চাকরি? কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের মামলা, নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই বড় আপডেট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় দু’বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কঙ্কালসার দশা রাজ্যে। একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। বাতিল হয়েছে বহু চাকরি। এখনও ঝুলে রয়েছে বহু মানুষের ভাগ্য। এই আবহে প্রাথমিকের টেট সার্টিফিকেট চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কয়েকশো শিক্ষক। তাদের দাবি, শিক্ষকতার চাকরি করলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of, Primary Education) টেট (TET) সার্টিফিকেট এখনও দেয়নি। তাই চিন্তায় রয়েছেন তারা।

মামলাকারী শিক্ষকদের কথায়, প্রাথমিক দুর্নীতি মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাচ্ছে। তবে এখনও পর্ষদ টেট সার্টিফিকেট না দেওয়ার কারণে সেটা তারা দেখাতে পারছেন না। যার জেরে সমস্যা হচ্ছে। তাই যাতে তাদের সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয় সেই নিয়ে মামলা হয়েছে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠবে মামলাটি। পুজোর ছুটির পরে আদালত খুললে মামলাটি শুনবেন বিচারপতি সিনহা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় প্রায় ২০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী অংশ নেন। তাদের মধ্যে কৃতিদের নাম জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই টেট থেকে প্রথমে ৪২ হাজার এবং পরে আরও কয়েক হাজার চাকরি দেওয়া হয় পর্ষদ তরফে। যদিও তাদের কোনো টেট পাস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। কে, কত নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন সেই বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।

calcutta high court

আরও পড়ুন: DA অতীত! এবার এই ভাতা নিয়ে ফুঁসে উঠলেন শিক্ষকরা, করা হল বড় পদক্ষেপ

এরপর ২০২২ সালে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চলাকালীন বহু চাকরিপ্রার্থী টেট সার্টিফিকেট চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই সময় তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা উঠলে তার নির্দেশ ছিল, টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে সেই সময়ও তালিকা প্রকাশ করেনি পর্ষদ। এবার শিক্ষকরা টেট সার্টিফিকেট চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির আবহে টেট সার্টিফিকেট না থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন তারা। চাকরি যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে পদক্ষেপ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর