Chhath Puja: শুরু ছটপুজো, জানেন এই পুজোয় ঠিক কি হয়? ছটপুজোর আরাধনা কারা করেন, জেনে নিন মাহাত্ম্য!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দুদের উৎসবের শেষ নেই। আজ এই উৎসব তো কাল ওই উৎসব লেগেই রয়েছে। বছরের শুরু থেকে শেষ অবধি লেগেই রয়েছে উৎসব। শুরু হয় নববর্ষ দিয়ে, আর শেষ হয় সংক্রান্তি দিয়ে। তবে সদ্যই ভারতবাসী দীপাবলির আমেজ কাটিয়ে উঠেছে, এরই মধ্যে ফের আরো একটি উৎসব ছটপুজো ( Chhath Puja )। যদিও এই ছটপুজো সকলের জন্য নয়। হিন্দুদের মধ্যে বিশেষ কিছু সম্প্রদায় রয়েছে যারা এই উৎসব পালন করেন। আর এবার ছটপুজো ( Chhath Puja ) পড়েছে ৫ই নভেম্বর মঙ্গলবার। তবে এই পুজোর বিশেষ বিশেষ রীতি রয়েছে। এগুলি না মানলে এই উৎসব পবিত্রতা বজায় থাকেনা। কিন্তু প্রশ্ন এই ছট পূজা আসলে কি? কেন করা হয় ছটপুজো? চলুন জেনে নিই।

সবার আগে জেনে নিন ছটপুজো ( Chhath Puja ) কতদিন ধরে চলবে?

বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, ছটপুজো ( Chhath Puja ) শুরু হচ্ছে ৫ই নভেম্বর। প্রথম দিনের উৎসবকে বলা হয় নাহায়-খায়। এরপরের দিন অর্থাৎ ৬ই নভেম্বর দ্বিতীয় দিনকে বলা হয় খরনা। বুধবার দিন পড়েছে এর শুভ সময়। এরপর তৃতীয় দিন অর্থাৎ জলে দাঁড়িয়ে সূর্যকে উপাসনা করার দিন। যাকে বলা হয় সান্ধ্য অর্ঘ্য। এই বিশেষ দিনটি পালিত হবে ৭ই নভেম্বর। চতুর্থ দিন অর্থাৎ শেষ দিন হচ্ছে উষা অর্ঘ্যের দিন। এদিন সূর্যকে অর্ঘ্য দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। তাই ৮ই নভেম্বর পড়েছে এই বিশেষ দিনটি।

আরো পড়ুন : আম্বানি, আদানি থেকেও বড়লোক, সুদ নিতেন ইংরেজদেরর থেকে, এই ব্যবসায়ীর দাপট দেখলে হবেন “থ”!

ছটপুজোর মাহাত্ম্য কি জানুন: হিন্দু ধর্মে ছটপুজোর ( Chhath Puja ) বিরাট মাহাত্ম্য রয়েছে। এই দিনগুলিতে সূর্যের উপাসনা, আরাধনা করা হয়ে থাকে। ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে সূর্যই হচ্ছে একমাত্র দেবতা যাকে প্রত্যেক দিন প্রত্যক্ষ করা যায়। তাই হিন্দুদের কাছে, সূর্য দেবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এমনকি সূর্যের আলোর মাধ্যমে গোটা জীবজগতে অন্ধকার দূর হয়ে আলো সৃষ্টি হয়। তাই বলা হয় সূর্য দেবতার আশীর্বাদ যে পায় তার জীবন ধন্য ধন্য হয়ে কাটে। তেজ, গুণ, সুখ-সমৃদ্ধ, আত্মবিশ্বাস সব লাভ করা যায় সূর্যদেবের আরাধনা করলে। ছট পুজোর ( Chhath Puja ) দিন শুধু সূর্যদেবকে নয়, একই সাথে ছটি মাতা অর্থাৎ ষষ্ঠী দেবীকেও পূজা করার রীতি চালু রয়েছে।

আরো পড়ুন : RBI: RBI তো নয় যেন ধন কুবেরের রত্ন ভান্ডার, মহালক্ষ্মী যোগ দেশের ভান্ডারে রয়েছে এত এত সোনা, পরিমাণ শুনলে হবেন “থ”!

বিশেষ করে, মায়েদের কাছে এই পুজোর এক বিশেষ গুরুত্ব। কারণ ষষ্ঠী পুজোর মাধ্যমে সন্তানের দীর্ঘায়ু, মঙ্গল কামনা ইত্যাদি লাভ করা যায়। শুধু তাই নয়, একইসাথে এইসময় ভক্তি ভরে পুজো করলে আপনার মনের কাঙ্খিত ইচ্ছাও পূরণ হয়।

ছটপুজোকে ( Chhath Puja ) ঘিরে ঠিক কি কি পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে?

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, সীতাও নাকি ছট পুজো ( Chhath Puja ) করেছিলেন। রামের সঙ্গে যখন ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে অযোধ্যায় ফিরে আসেন, তারপরে রাবণ বধের পাপ থেকে মুক্তি পেতে মুগ্দল ঋষির সঙ্গে দেখা করেন রাম ও সীতা দুজনেই। আর সেখানেই ঋষি তাদের জানান ছট পুজো করতে। সেইসাথে এই পুজোর তাৎপর্য বুঝিয়ে দেন তিনি। এরপরই কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পুজো করেন দুজনে। এই কাহিনী প্রায় সকলের মুখেই শোনা যায়। এছাড়াও বিভিন্নজন বিভিন্ন রকমের মতামত দিয়েছেন।

Chhath Puja

এইসময় পুজোয় ঠিক কি কি নিয়ম পালন করা হয়?

ধর্মীয় স্বাস্থ্য অনুসারে ছট পুজোর ( Chhath Puja ) ব্রত অত্যন্ত কঠিন ব্রত। বিশেষ করে খরনার দিন ৩৬ ঘন্টা নির্জলা উপবাস রাখতে হয় ভক্তদের। তার কম হলে সেই পুজোর কোন মাহাত্ম্য থাকে না। এই পুজোয় আসল প্রসাদ হচ্ছে ঠেকুয়া। এদিন পুজোর সময় একটি কুলোর মধ্যে ঠেকুয়া, নারকেল, বিভিন্ন ফল দিয়ে যেকোনো নদী বা জলাশয়ে দেওয়া হয়। তবে একেক দিন একেক রকমের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকটি পুজোতেই সূর্য দেবতাকেই বিশেষ করে আরাধনা করা হয়ে থাকে।


Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর