‘ভেঙে গুড়িয়ে দিন…’, চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি! এবার বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের খাস কলকাতায় (Kolkata) বেআইনি নির্মাণ (Illegal Construction) নিয়ে মামলা! আর সেই মামলাতেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পুরসভার ভূমিকা। শহরের বুকে মেটিয়াবুরুজে জমি দখল করে পাঁচতলা আবাসন নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জমির মালিক। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলা উঠলে বড় নির্দেশ দেন বিচারপতি।

পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেটিয়াবুরুজ থানার অন্তর্গত এন ১৪৭/সি বল্লামতলা লেনের ওই জমি। যার মালিক মহম্মদ আতাউল্লা। জমির মালিকের অভিযোগ, কিছু অসাধু প্রোমোটার বলপূর্বক তার জমি দখল করে পাঁচতলা আবাসন গড়ে তোলে। অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ তুলে কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকেও। তবে কোনও সুরাহা হয়নি। এরপরই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।

মামলাকারীর অভিযোগ, জমির মিউটেশন তার নামে রয়েছে। তিনি কর দেন। তবে স্থানীয় কিছু প্রোমোটার সেই জমি দখল করে বেআইনি পাঁচতলা নির্মাণ তৈরি করে বিক্রি করেছে। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তার মক্কেলের জমি দখল করে নিয়েছে। পুরসভা, প্রশাসনের কাছে একাধিকবাট অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। যা চূড়ান্ত অপব্যবস্থার লক্ষণ।’

আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? ওয়েদার আপডেট

পুরসভার ভূমিকায় আঙ্গুল তুলে আইনজীবী বলেন, কলকাতা পুরসভা সঠিক সময় ব্যবস্থা নেয় নি। পুরসভার ৩৯৩ ও ৪০০ আইনে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারত, তবে তা না করায় মামলাকারী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাল্টা পুরসভার পক্ষের আইনজীবী জানান, “মেটিয়াবুরুজে ওই পাঁচতলা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণকারীরা কোনও অনুমতি নেয়নি।”

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা..,’ এবার বিরাট কথা বলে দিলেন মমতা, শোরগোল

পাল্টা প্রশ্ন তুলে বিচারপতি চন্দ বলেন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হল, পুরসভা কি পদক্ষেপ করছে? পুরসভা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানায় আইনজীবী। সব শুনে বিচারপতি চন্দের নির্দেশ, একমাসের মধ্যে ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে।

ad

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর