বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফলের রাজা আম হলেও, সারা বছর চাহিদা কিন্তু কলার। কলার মত উপকারী ফল আর দুটি নেই। দামে কম, গুণে ঠাসা এইফল প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতে থাকবেই থাকবে। ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম, ফাইবার সহ একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ছোট্ট ফলটি। প্রতিদিন সকালে একটা খেলেই পেট থেকে শুরু করে ত্বক সবকিছুর হাল হকিকত থাকে সুস্থ। এমনকি এনার্জি বাড়ানোর কাজেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু কি জানেন? এই কলাই আপনার স্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। শুনলে অবাক হবেন, কলা থেকেই হতে পারে ক্যান্সার (Cancer)।
এখন প্রশ্ন কলা থেকে কিভাবে ক্যান্সার (Cancer) হতে পারে?
ফলের মধ্যে সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত কলা। তবে কলা থেকেই ক্যান্সার (Cancer) হয় বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। কলা চাষের মধ্যেই রয়েছে আসল বিষ। আজকাল সবকিছুতেই ভেজাল। বর্তমানে যাই খাওয়া হয় তাতেই মেশানো হচ্ছে রাসায়নিক। আর সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে না কলাও। আজকাল বাজারে রাসায়নিকভাবে পাকানো কলা বেশি বিক্রি হচ্ছে। গবেষকদের মতে এই কলা খেলেই ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
ঠিক কি রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে কলাতে: গবেষকদের মতে কলা দ্রুত পাকাতে কার্বাইডের বিশেষ ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এই রাসায়নিক মানব শরীরের জন্য বিষের সমান। গবেষকরা বলছেন কার্বাইড এমন এক ধরনের যৌগ, যা বাতাসে বা জলীয় দ্রব্যের সংস্পর্শে এলেই এসিটিলিন গ্যাস উৎপন্ন করে। আর এটি কোন ফল কিংবা সবজিতে প্রয়োগ করার সময় এসিটিলিন ইথানল নামক পদার্থে রূপান্তরিত হয়। যার ফলে কার্বাইড অত্যন্ত ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
আর সেই কার্বাইডই কাঁচা কলার ওপর প্রয়োগ করে থাকেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। একটি কাঁচা কলার ওপর প্রয়োগ করার মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে সবুজ রং বদলে হলুদ রং ধারণ করে অর্থাৎ পেকে যায়। গবেষকরা দাবি করছেন, এই কার্বাইড যুক্ত কলা খেলে একাধিক ক্যান্সার (Cancer) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “অনেক মানুষ ক্যান্সারে ভুগছেন। স্তন ক্যান্সার, হাড়ের ক্যান্সার, মজ্জা ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অনেক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে আমরা যা খাই তার কারণে হয়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এই কার্বাইড দেওয়া কলা।”
আরও পড়ুন: মাঠে ফিরেই জ্বলে উঠলেন শামি! সুযোগ পাবেন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে? সামনে এল বড় আপডেট
কিন্তু এখন প্রশ্ন কার্বাইড দিয়ে পাকানো কলা কিভাবে চিনবেন: তার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকদের মতে প্রাকৃতিক ভাবে পাকা কলায় এক জাতীয় কালো দাগ থাকে। এছাড়াও এর ত্বক অত্যন্ত পাতলা হয় সেই সাথে এটির স্বাদও অত্যন্ত মিষ্টি হয়ে থাকে। তবে কার্বাইড দিয়ে কলা পাকালে তাতে দাগ ছোপ কিছুই থাকে না। দেখতেও বেশ সুন্দর লাগে। দাগবিহীন পাকা পাকা হলুদ কলা গুলো সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে এই সৌন্দর্যের কামালের পিছনে রয়েছে কার্বাইড। এছাড়াও কার্বাইড দিয়ে পাকানোর ফলে, কলার অর্ধেক অংশ পাকা হয় আবার অর্ধেক অংশ কাঁচা থাকে। আর প্রাকৃতিকভাবে কলা পাকলে কলার পুরো অংশটি সমানভাবে পাকে। বিশেষ করে কলার স্বাদ বুঝিয়ে দেয় কোনটি প্রাকৃতিক আর কোনটি অপ্রাকৃতিক। এইভাবেই বুঝে যাবেন কলা কার্বাইড দিয়ে পাকানো কিনা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ের পর আমেরিকার দিকে নজর আদানির! তৈরি ১০ বিলিয়ন ডলারের মেগা প্ল্যান, হবে ১৫ হাজার চাকরি
এছাড়াও গবেষকরা কার্বাইড কলা পরীক্ষা করার উপায়ও বলে দিয়েছেন। তার জন্য একটি পাত্রে জল নিতে হবে, এরপর সেই পাত্রে একটি কলা ফেলে দিন। প্রাকৃতিকভাবে কলা পাকলে তা জলের মধ্যে ডুবে যাবে। আর যদি কার্বাইড মেশানো কলা হয় তাহলে কলাটি জলের উপর ভেসে থাকবে। এর মাধ্যমে সহজেই চিনতে পারবেন কোনটি খাঁটি আর কোনটি অখাঁটি।