বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ট্রেন (Train) হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ট্রেন ছাড়া মানুষ যাতায়াতের কথা ভাবতেই পারেনা। ১ ঘন্টার রাস্তা ১০ মিনিটে পৌঁছে দিতে পারে একমাত্র ট্রেন। শুধু কম সময় নয় একই সাথে টাকাও সাশ্রয় করে দেয় একমাত্র এই যান। কারণ এই মুহুর্তে গাড়ি ভাড়ার যা বাড়-বাড়ন্ত। তাতে সকলের ভরসা একমাত্র ট্রেন (Train)। রেলকে বলা হয় ভারতের মেরুদণ্ড। দূরে কোথাও ভ্রমণ হোক কিংবা নিত্যদিনের অফিস যাত্রা সবেতেই ট্রেনের (Train) চাহিদা। ট্রেন তো চড়ছেন, কিন্তু ভারতের প্রথম ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন কোনটি বলতে পারবেন। নিশ্চয়ই উত্তর জানেন না, না জানলে জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
ইঞ্জিনবিহীন ট্রেনের (Train) নাম কি?
এই মুহূর্তে দেশের প্রথম ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন (Train) নিয়ে মানুষের মধ্যে এক আলাদাই উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন এই ইঞ্জিনবিহীন ট্রেন বাংলা সহ ভারতের বুকের উপর দিয়ে ছুটে চলেছে। ইঞ্জিন না থাকলেও, এই ট্রেন ছুটছে ঝড়ের গতিতে। রাজধানী চেন্নাই শতাব্দী সকলকে টক্কর দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে এই একমাত্র ট্রেন। তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিন বিহীন এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮৩ কিমি প্রতি ঘন্টা হলেও, রেলপথ ও ট্রাফিক সীমাবদ্ধতার কারণে ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছোটে।
এতকিছুর শোনার পর নিশ্চয়ই আন্দাজ করতে পেরেছেন এই ট্রেনটির নাম কি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই ট্রেনের (Train) নাম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যদি কোন ট্রেনের চাহিদা সবথেকে বেশি হতে পারে সেটি হচ্ছে “বন্দে ভারত এক্সপ্রেস”। প্রায় অধিকাংশ মানুষই এই ট্রেনে সফর সেরে ফেলেছেন। ট্রেনের লাক্সারিয়াস সুবিধা থেকে শুরু করে গতিবেগ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা আছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ট্রেনে যদি ইঞ্জিন না থাকে তাহলে এই ট্রেন ছুটছে কি ভাবে?
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানির বড় চমক! স্ত্রী নীতাকে উপহার দিলেন ৭০০০০০০০০০০০ কোটির কোম্পানি
আসলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি দ্বারা নির্মিত, ট্রেনটি তৈরির সময় কোন ইঞ্জিন ব্যবহারের জায়গা রাখা হয়নি। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন, বেশিরভাগ এক্সপ্রেস কিংবা দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে একটি আলাদা ইঞ্জিন কোচ থাকে। আর সেই কোচটিকে ট্রেনের (Train) সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়। তবে বন্দে ভারতের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। কারণ এই ট্রেনে বুলেট বা মেট্রো রেলের মত একটি সমন্বিত রেল ইঞ্জিন থাকে যা মূলত বগিগুলোর সঙ্গেই যুক্ত থাকে। এরজন্যই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের কোন সিস্টেম দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় চোট পেলেন বিরাট কোহলি! পৌঁছলেন হাসপাতালেও, বড় ধাক্কার মুখে টিম ইন্ডিয়া
আর ট্রেনটি (Train) এতটাই অত্যাধুনিক যে আজ সকলের কাছে এত চাহিদাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, এর সুবিধা অত্যন্ত উন্নতমানের। তাই বলা হয়, রাজধানী শতাব্দীর যোগ্য উত্তরসূরী হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। আগামী দিনে এই ট্রেনের চাহিদা আরো বাড়তে চলেছে। ফলে ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা