বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তখনও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম জড়ায়নি। তার বছর খানেক আগে গুণধর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিকেল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলী। তাই আরজিকর কান্ডে সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই এই আখতার আলীকে ডেকে দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সন্দীপ ঘোষের পর এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) আখতার আলির নিশানায় কে?
এবার আখতার আলী সরব হয়েছেন একেবারে অন্য একটি বিষয় নিয়ে। আরজিকরের পর এবার তাঁর নিশানায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) মেডিকেল কলেজ। এবার এই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগ করোনা মহামারীর সময় সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত সাফাই কর্মী,স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষী হাসপাতালের কাজে যুক্ত ছিলেন তাদের সবাইকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পরে কাজে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও পরে আর তাদের ফিরিয়ে আনা হয়নি। সেই সময় টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়েছিল নিরাপত্তা রক্ষীদের।এবার এই সমস্ত হাসপাতাল কর্মীদের হয়ে সুর চড়ালেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি। শনিবার এই সমস্ত কর্মীদের জন্য হাইকোর্টের। অভিযোগ দায়ের করার জন্য সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত ২০২২ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার, প্রিন্সিপাল সহ একাধিক জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল কিন্তু এই সমস্ত এই ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনো শুরু হয় না মেলায় অক্টোবর মাসেই রাজ্যে দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু সেখানেও কোন সাড়া না মেলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্ত হতে চলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েই কুপোকাত? আবাস প্রকল্পের টাকা মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজও বাদ যায়নি। যে সময় মানুষ প্রাণের ভয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন, সেই সময় নোংরা-জঞ্জাল পরিষ্কার করেছেন এরা। কিন্তু এদেরই পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে নিয়োগ হলে দেখা যায় এদের বাদ নিয়ে অন্য লোকজনকে নেওয়া হয়েছে। ৭০ জনের উপর লোক নিয়োগ হয়েছে। আমার কাছে প্রমাণ আছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ হয়েছে।’
সেইসাথে তিনি আরও বলেন,’আমি আগেও দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়েছি। এবারও দেখলাম এদের উপর অন্যায় হয়েছে। তাই আর থাকতে পারলাম না। এখানেও দুর্নীতি হয়েছে। খুল্লামখুল্লা দুর্নীতি হয়েছে।’