বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর সাতেক আগের কথা! সেসময় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তারপর সৈকত শহর দীঘাতেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির নির্মাণের কাজ। এবার এই মন্দির নির্মাণের কাজ সর-জমিনে খতিয়ে দেখতেই নিজেই সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার (Mamata Banerjee)
সম্প্রতি বিরসা মুন্ডার ১৫০ তম জনবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই বিজেপিকে ‘বিভেদকারী’ তকমা দিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। কারও নাম না নিয়েই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভোট এলেই ওরা ধর্ম করে। আর আমরা ৩৬৫ দিন মানুষের কাজ করি। ওরা স্বামীজিকে নিয়ে রাজনীতি করে।
তারপরেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, ‘আমি শীঘ্রই দিঘায় যাব জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখতে। সেখানে জগন্নাথের মার্বেল মূর্তি এসে গিয়েছে। তবে ট্রাডিশন মেনে ছোট্ট একটি নিমকাঠের ঠাকুর করেছি। সেটাই পুজো হবে। এছাড়াও বড় ঠাকুর, ভোগঘর, ট্রাস্টি বোর্ড, পুরোহিত, সব কিছুই হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই।’
শুধু তাই নয় দীঘার এই মন্দিরেই তৈরী হতে চলেছে একটি চৈতন্যদেবের তোরণ। মুখ্যমন্ত্রী যার নামকরণ করেছেন ‘চৈতন্যদ্বার’। প্রসঙ্গত চলতি বছরের শুরুতেই অসমাপ্ত অবস্থায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই বিজেপির নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, ‘অসমাপ্তভাবে কিছু উদ্বোধন করা মানে, তাঁকে অসম্মান করা হয়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শেষ হলে তবেই আমরা সেটি উদ্বোধন করব। কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। পুরো সম্পূর্ণ হলে তবেই চালু করব।’