বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেলডাঙার দুর্গাপুজো-কার্তিক পুজোর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এবার রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি নেতার দাবি বেলডাঙায় যে দুষ্কৃতি বাহিনী কার্তিকপুজো আর দুর্গা পুজায় সংঘর্ষে চালিয়েছিল তারা নাকি আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক।
বেলডাঙার ‘ক্ষতিপূরণ’ নিয়ে বড় ঘোষণা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাফ কথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্যের বিষয়। কাজেই রাজ্যের প্রশাসনই এই ধরনের সংঘর্ষের জন্য দায়ী। সেই সাথে শুভেন্দুর অভিযোগ গুন্ডাদের হাতেই সেদিন ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে ফালাকাটা,গার্ডেনরিচ, বজবজ, বেলেডাঙার কার্তিক পুজো এবং রাজাবাজারের কালীপুজোর উদাহরণ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন প্রত্যেকটি পুজোর অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কোন সুরক্ষা দেয়নি রাজ্য সরকার।
সেইসাথে বিরোধী দলনেতার দাবি ‘দুষ্কৃতীরা বিশেষ সম্প্রদায় থেকে রয়েছেন বলে পুলিশের সাহস নেই এদের কেশাগ্র স্পর্শ করার।’ পুলিশ অনুমোদিত পুজো গুলিতে সুরক্ষা দিতে পারেনি বলেই এদিন অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি বেলডাঙার ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘হিন্দু, সনাতনীর সংখ্যা কম হলে কী হতে পারে তা দেখতে পারছেন। এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে যাব’। এছাড়া এদিনের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তিনভাবে সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: রাতারাতি সবাইকে…! মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশ নিয়ে যা বললেন মমতা
বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন এফআইআর করার ক্ষেত্রে সাহায্য করা ছাড়াও, ক্ষতিগ্রস্তদের আইনি সাপোর্ট দেওয়া হবে। যতগুলি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেই সমস্ত দোকানের মালিকদের জন্য দল এবং সনাতনীদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়াও এদিন যতগুলি মন্দির ভাঙচুর হয়েছে সেগুলি সংস্কারের জন্য বিজেপির ৬৭ জন বিধায়কের বেতন থেকে অর্থ দিয়ে মন্দির সংস্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
শনিবার রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলডাঙা। ওই রাতেই বাড়ির মধ্যে ঢুকে বাড়ি ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবাও। জানা যায়, শনিবারের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।