বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দলের সাংগঠনিক স্তরের রদবদল নিয়ে যখন তুমুল ব্যস্ত দলের দুই প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। ঠিক তখনই, একে অপরের দিকে কাদা ছোছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত দলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একজন তৃণমূল নেতাই যখন অপর একজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন তখন এ বিষয়ে কেন একেবারে নিরব মমতা (Mamata Banerjee)-অভিষেক?
শীর্ষ নেতাদের ঝগড়ায় পাত্তা দিচ্ছেন না কেন মমতা (Mamata Banerjee)-অভিষেক?
এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মহলের মতামত এমন মন্তব্যের লড়াইতে আসলে দলের সার্বিক অস্তিত্বই জাহির করা হয়। তাছাড়া ইতিপূর্বে একাধিকবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা এভাবে একে অপরের দিকে কাদা ছোছোঁড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন। কিন্তু কখনওই তার জন্য শাস্তি হয়নি কারও। তাছাড়া রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ডানপন্থী রাজনীতির ঘরানায় বিষয়টা একেবারেই নতুন নয়।
আসলে কংগ্রেসি ঘরানায় নাকি এভাবে খুললাম খুল্লা কথা বলাই দস্তুর। আর বরাবরই এই ধরনের ঝগড়ার ক্ষেত্রে দলের কোন প্রতিক্রিয়াই থাকে না। নির্দিষ্ট সময়ে পরে কালের নিয়মে ঝগড়া থেমে যায়। আর এই সমস্ত আলোচনাও স্তিমিত হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি ঘসফুল শিবিরে এখন ‘নীরব পর্ব’ চলছে। রাজ্যের প্রশাসনিক রদবদল নিয়েই আপাতত তুমুল ব্যস্ত মমতা (Mamata Banerjee)-অভিষেক। তাই এর বাইরে অন্য কোন বিষয়ে পাত্তাই দিচ্ছেন না তাঁরা।
অভিজ্ঞদের মোতে এইভাবে প্রকাশ্যে শীর্ষ নেতারা ঝগড়া জুড়ে দেওয়ার ফলে আদতে মিডিয়ার ফোকাস গিয়ে পড়ে নেতাদের দিকেই। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের ওপর প্রকাশ্য আক্রমণের পর থেকেই দলের প্রবীণ শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল ঝগড়া। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশেই শুরু অ্যাকশন! সাসপেন্ড বারাবনি থানার ওসি, শোরগোল
সেই থেকে একে অপরকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে বিঁধেছেন একই দলের দুই সংসদ সৌগত রায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আর বিধায়ক মদন মিত্ররা। তার আগে পুলিশ মন্ত্রীর ভূমিকা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করে বিতরকের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির।
তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতাদের ঝগড়া এখন কার্যত খেউড়ে পরিণত হয়েছে। আসলে এইভাবে এঁরা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করেন মাত্র। কিন্তু এখনও পর্যন্তই শীর্ষ নেতাদের এহেন মন্তব্য নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত এর আগেও এমন অনেকেই অনেক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কখনও কারও না হয়েছে শাস্তি, না কেউ ভোটের টিকিট থেকে বঞ্চিত থেকেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এরাই হলেন দলের আসল কান্ডারী। তাই এই সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বেদের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শুধুমাত্র কিছু কনফিউশন তৈরি হতে পারে তার মাত্র।