বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৫ বছরের গেরো! এবার আদালতের পথে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। বাম আমলে ১৫ বছরের পুরনো বেসরকারি বাস বন্ধের কড়া নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে পরিবহন দফতরও নির্দেশিকা জারি করেছিল। এর জেরে অগাস্ট থেকে হু হু করে কমছে বাস। মাথায় হাত পড়েছে বাস মালিক সহ সাধারণ মানুষেরও। বাম আমলের সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যাচ্ছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। আগামী সপ্তাহে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তারা।
সূত্রের খবর, আদালতে বাস মালিকদের দাবির পক্ষে আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার। এদিন জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রান্সপোর্ট অপারেটরস পরিবহন ভবনে মন্ত্রী এবং পরিবহন সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রসঙ্গত, কিছু বছর আগে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেছে এমনি কোনও বাস আর কলকাতা শহর কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথিরিটি (কেএমডিএ)-র এলাকায় চালানো যাবে না। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ আর চালানো যায়না। দূষণ এড়াতেই এই পদক্ষেপ। এই নির্দেশ কার্যকর হতেই শহরের (Kolkata) রাজপথে হুড়মুড়িয়ে কমছে বাস।
পরিসংখ্যান বলছে করোনার আগে মহানগরীর রাজপথে ৪ হাজার ৮৪০ টি বেসরকারি বাস চলত। এখন তা কমে হয়েছে মোটে ৩ হাজার ৬১৫। কোভিডের আগে মিনিবাস চলত ২ হাজার ৬৪। বর্তমানে তার পরিমাণ হয়েছে ১ হাজার ৪৯৮। এদিকে গত তিন মাসে পনেরো বছরের গেরোয় আরও পাঁচশোর বেশি বাস বসে গিয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে শহরে ১২০০ বাস ও মিনি বাস বসে যেতে চলেছে।
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে…অসহায় বাবার আর্জিতে সায়! ফের মানবিক বিচারপতি অমৃতা সিনহা
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। বাস মালিকদের দাবি যুক্তি সংগত বলে মন্তব্য করেছেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এর আগে বাস মালিক সংগঠনগুলি দাবি করেছিলেন এমনিতেই কোভিডের কারণে দু’বছর বহু বাস বসে গিয়েছিল। তাই যাতে ১৫ বছরের পরিবর্তে বাসগুলোর মেয়াদ ২০ বছর করা হয় সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার কথা।