নিজের চরকায় তেল দাও! চিন্ময় প্রভুর গেফতারি প্রসঙ্গে ভারতের মন্তব্য শুনতে নারাজ বাংলাদেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চায় রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) ইসকনের সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহীতার  মামলা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ রয়েছে আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে। তবে সোমবার বাংলাদেশের (Bangladesh) বিমানবন্দর থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেদেশের সংখ্যালঘু বাসিন্দারা।

ভারতকে পাল্টা হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের

ইসকনের সাধুর গ্রেফতার পরবর্তী সংষর্ষে এই মুহূর্তে উত্তাল ওপার বাংলা। প্রতিবেশী দেশের হিন্দু সাধুর গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর জামিন না পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। তারপরে ভারত সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাল্টা বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার।

প্রসঙ্গত বিগত কয়েক বছরে বিশেষ করে মোদী জামানায় ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক অনেক বেশি উন্নত হয়েছে বলে দাবি করা হয়ে থাকে। বিদেশী রাষ্ট্রনেতাদের সাথে বরাবরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে ভারত। কিন্তু ভালো করে লক্ষ্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই আলাদা। আগেও একাধিকবার ভারতের দেওয়া কোনো পরামর্শই গ্রহণ করেনি বাংলাদেশ। তাই সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে বাংলাদেশের সাথে বৈদেশিক সম্পর্ক স্থাপনে একেবারে ডাহা ফেল ভারত।

ইসকনের সাধুগ্রেফতার হওয়ার পর ভারতের দেওয়া বিবৃতিতে একেবারেই না খুশ বাংলাদেশ। তাঁদের দাবি চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারির ঘটনাকে ভুল ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। একই সাথে তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ভারতের বিবৃতি দুই দেশের বন্ধুত্বের পরিপন্থী। মঙ্গলবার ভারতের বিবৃতির পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করে ওপার বাংলার তরফে জানানো হয়েছে, ভারত সরকার নাকি সে দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে। অর্থাৎ  বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের সরাসরি না বললেও তাদের কথায় স্পষ্ট ভারত তাঁদের অভ্যন্তরীন বিষয়ে ‘নাক গলাক’ এই বিষয়টা একেবারেই নাপসন্দ তাঁদের।

আরও পড়ুন: এক সাথে দুই দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে রেখেছেন রাহুল গান্ধী? সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ

এদিন ইউনুস সরকার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত হতাশা ও দুঃখের সঙ্গে সরকার লক্ষ্য করছে যে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ঘটনাকে কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে। এটি প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার পরিপন্থী।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরেই জন-সাধারণের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধ চলে আসছিল। বর্তমান সরকার তা শেষ করতেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

Bangladesh

সেদেশের সরকারের দাবি সংখ্যালঘুদেরও সেখানে একই নজরে দেখা হয়। কিন্তু ভারতের বিবৃতিতে এই বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে বলেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ওপার বাংলার দাবি বাংলাদেশের সরকার ধর্ম-জাতপাত-নির্বিশেষে সকলকে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সবাইকে সমান অধিকার দিয়ে থাকেন। সেইসাথে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও সরকারের।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর